সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ফ্রি কাশ্মীর’ পোস্টার নিয়ে মিছিলে শামিল হওয়ার জন্য ক্ষমা চাইলেন মুম্বইয়ের প্রতিবাদী মহিলা। জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সমর্থনে মুম্বইয়ের একটি মিছিলে বিতর্কিত পোস্টার হাতে ওই মহিলার ছবি ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তারপরই তাঁকে ঘিরে প্রবল সমালোচনা শুরু হয়।
বিতর্কের জেরে মঙ্গলবার, ‘ফ্রি কাশ্মীর’ পোস্টারটি নিয়ে সাফাই দিয়েছেন মেহেক মির্জা বানো নামের ওই মহিলা। পেশায় কাহিনিকার মেহেক বলেন, “আমি হাড়েমজ্জায় মহারাষ্ট্রের মানুষ। মুম্বই শহরেই বড় হয়েছি। আমার পোস্টার ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে তা দেখে আমি হতবাক। ‘ফ্রি কাশ্মীর‘ বলেতে আমি উপত্যকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের প্রতিবাদ করেছিলাম। না বুঝেই এই বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছি আমি। এর জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।”
এদিকে, মেহেকের পাশে দাঁড়িয়েছেন এনসিপি দলের নেতা তথা উদ্ধব ঠাকরে সরকারে মন্ত্রী জয়ন্ত পাটিল। তাঁর দাবি, কাশ্মীরে বিধিনিষেধ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন মেহেক। শিব সেনা সাংসদ সঞ্জয় রাওয়াত আগেই বলেছিলেন, কাশ্মীর নিয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। এবার তাঁর বক্তব্য, “শুনেছি যিনি পোস্টার হাতে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি কাশ্মীরে সরকারি বিধিনিষেধ নিয়ে সরব হয়েছেন। কিন্তু এর মানে এই নয় যে ওই মহিলা কাশ্মীরকে বিচ্ছিন্ন করার কথা বলছিলেন।”
উল্লেখ্য, সোমবার, JNU কাণ্ডের প্রতিবাদে ‘গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া’র কাছে বিক্ষোভ শুরু হয়। সেখানেই এক মহিলার হাতে দেখা যায় ‘ভারত বিরোধী’ পোস্টার। অভিযোগ, সেটিতে কাশ্মীরকে স্বাধীন করার দাবি জানানো হয়েছিল। ওই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পরই দেখা দেয় তীব্র বিতর্ক। প্রতিবাদে সরব হন নেটিজেনরা। প্রতিবাদের নামে দেশের সার্বভৌমত্বে আঘাত করা কি আদৌ যুক্তিযুক্ত? উঠে আসে এমন প্রশ্ন। একের পও এক টুইটে ওই মহিলা প্রতিবাদকারীকে তুলোধোনা করেন অনেকেই।
[আরও পড়ুন: জেএনইউ কাণ্ডে নয়া মোড়, আক্রান্ত ঐশী ঘোষের বিরুদ্ধেই মামলা দিল্লি পুলিশের]
The post ‘ফ্রি কাশ্মীর’ পোস্টার ঘিরে তুঙ্গে বিতর্ক, ক্ষমা চাইলেন প্রতিবাদী মহিলা appeared first on Sangbad Pratidin.