হেমন্ত মৈথিল: জনকল্যাণমূলক কাজে অবহেলা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। কাজের মানুষের অভাব নেই। তবে তাঁদের সবসময় উৎসাহিত করতে হবে। বুধবার এমনটাই জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এদিন লালবাহাদুর শাস্ত্রী ভবনে সিএম কমান্ড সেন্টারে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে বিভিন্ন বিভাগ এবং প্রকল্পের কর্মক্ষমতা পর্যালোচনা করেন। প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতেও দেখা যায় তাঁকে।

তিনি উল্লেখ করেন যে, জেলা পর্যায়ে, প্রতিদিন পর্যালোচনা করতে হবে। পাশাপাশি সাপ্তাহিক এবং পাক্ষিক ভিত্তিতেও পর্যালোচনা করে যেতে হবে। জেলা পর্যায়ে একজন কর্মকর্তা নিয়োগ করা উচিত যাতে রিপোর্ট করা সব তথ্য সঠিক ভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়। এরই পাশাপাশি মাসে একবার মন্ত্রী পর্যায়ে পর্যালোচনার নির্দেশও দেন যোগী। উত্তরাধিকার প্রাপ্তি এবং ভূমি ব্যবহারের অনুমোদনের মতো পরিষেবার ক্ষেত্রে সময়সীমা মেনে চলতে হবে বলেও জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
সেই সঙ্গেই যোগী বলেন, রাজ্যের ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্পগুলির অগ্রগতি নিয়মিত নজরে রাখতে এবং পর্যবেক্ষণ করতে একটি র্যাঙ্কিং সিস্টেম তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁর দাবি, সমস্ত বিভাগই কর্মক্ষমতা-ভিত্তিক হওয়া উচিত। এবং এটা নিশ্চিত করতে হবে যেন প্রত্যেক স্তরেই জবাবদিহির নিয়ম থাকে।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আরও জানান যে, যদি কোনও সরকারি প্রকল্প একশো শতাংশ পরিপূর্ণ না হয়, তাহলে সেটির উদ্দেশ্য অসম্পূর্ণ থেকে যায়। বিষয়টি নিয়মিত তদারকি করা উচিত এবং প্রতিটি বিভাগকে প্রতিদিন অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করতে হবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, প্রকল্পগুলি তৈরি করার সময়, কর্মকর্তাদের নিশ্চিত করা উচিত যে সেগুলি যেন সর্বাধিক সংখ্যক মানুষের উপকারে আসে।