সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মোবাইল ক্যামেরা আর ইন্টারনেটের এই পৃথিবীতে অপরাধ করে রেহাই নেই! পুলিশের আগে প্রযুক্তিই অপরাধীকে ধরিয়ে দেবে। যেমন, মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় হত্যাকাণ্ডের একের পর এক ভিডিও সামনে আসছে। এবার দেখা গেল, জঙ্গলে ঘেরা ঢালু পাহাড়ি পথে তিন যুবককে। উলটো দিক থেকে আসা পর্যটকদের ক্যামেরায় দেখা যায় তাঁদের। কিছু বোঝার আগেই প্রথম দুই যুবকের ছবি উঠে যায়। তৃতীয় যুবক ক্যামেরা দেখেই দ্রুত মুখ নামিয়ে নেন। মনে করা হচ্ছে ভিডিওর এই তিনজন রাজা খুনে অভিযুক্ত বিশাল, আকাশ এবং আনন্দ। ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল।
প্রেমিকের সঙ্গে পরিকল্পনা করে মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে স্বামী রাজা রঘুবংশীকে খুনের অভিযোগ সোনম রঘুবংশীর বিরুদ্ধে। হত্যাকাণ্ডে প্রেমিক রাজ কুশওয়াহাকে সাহায্য করেন তিন সঙ্গী। ভাইরাল নতুন ভিডিওতে রাজ ও তাঁর দুই সঙ্গীকেই দেখা গিয়েছে বলেই দাবি করা হচ্ছে। গত ২৩ মে-র ভিডিওটি মেঘালয়ের ‘ডবল ডেকার রুট’ সেতুর যাওয়ার রাস্তায় তোলা। ঘটনাচক্রে ওই দিনই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন রাজা এবং সোনম। বলা বাহুল্য, ভিডিওটি রাজা রঘুবংশী হত্যাকাণ্ডের তদন্তে পুলিশকে সাহায্য করবে। উল্লেখ্য, আগেই দেবেন্দ্র সিং নামের এক ব্যক্তির একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল সোনম ও রাজাকে। এবার আরও এক ভিডিও ভাইরাল।
গত ২০ মে মধুচন্দ্রিমায় মেঘালয়ে ঘুরতে যান নবদম্পতি রাজা রঘুবংশী ও সোনম রঘুবংশী। ২৩ মে চেরাপুঞ্জিতে পৌঁছনোর পর নিখোঁজ হন তাঁরা। এই ঘটনার ১১ দিন পর একটি জলপ্রপাতের খাদ থেকে উদ্ধার হয় রাজার পচা-গলা দেহ। তবে খোঁজ মেলেনি সোনমের। এরই মাঝে গাজিপুর থেকে বাড়িতে ফোন করেন সোনম। সেই ফোনের সূত্র ধরে তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। সোনমের বক্তব্যে অসঙ্গতি ধরা পড়ায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিকে যে জায়গায় রাজাকে খুন করা হয়েছিল সোমবার সেখান থেকে একটি দা উদ্ধার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, অসমের গুয়াহাটি রেল স্টেশন থেকে ওই দা টি কেনা হয়েছিল। ওই অস্ত্র দিয়েই একাধিক কোপ মেরে হত্যা করা হয়েছিল রাজাকে।
