হেমন্ত মৈথিল, মহাকুম্ভ নগর: আগামী ২৬ নভেম্বর শিবরাত্রির দিন পরিসমাপ্তি হবে মহাকুম্ভের। তার আগে ত্রিবেণী সঙ্গমে পুণ্যস্নানের ধুম পড়ে গিয়েছে। সাধারণ ভক্তদের পাশাপাশি ভিআইপিরাও শেষ লগ্নে ডুব দিচ্ছেন প্রয়াগরাজের পবিত্র জলে। বুধবার সঙ্গমে পবিত্র পুণ্যস্নান করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ, বিজেপি বিধায়ক তেজস্বী সূর্য, কেন্দ্রীয়মন্ত্রী রাম মনোহর নাইডু প্রমুখ।
এদিন সপরিবারে কুম্ভে স্নানের পর নির্মলা বলেন, সনাতন ধর্মের 'গভীর মুহূর্ত'। পুণ্যস্নানের পর তেজস্বী সূর্য বলেন, মহাকুম্ভ হল ভারতের একতার আবেগ। রাম মনোহর নাইডু বলেন, কুম্ভে স্নান ভারতের পরম্পরা। এদিন মহাকুম্ভে স্নান করেন শিব সেনা শ্রীকান্ত শিণ্ডেও। তিনি বলেন, ১৪৪ বছরের তিথি। জীবনে একবারই সম্ভব।
মহাকুম্ভে প্রতিদিন উপচে পড়ছে ভিড়। গোটা ভারত প্রয়াগরাজমুখী! বুধবার উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানান, এখনও পর্যন্ত ৫৬ কোটি ২৫ লক্ষ পুণ্যার্থী মহাকুম্ভের ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দিয়েছেন। এদিকে সোশাল মিডিয়ায় গুজব ছড়িয়েছে, যেহেতু প্রবল ভিড় হচ্ছে কুম্ভে, সেকথা মাথায় রেখে আগামী মার্চ মাস অবধি চলবে মহা মেলা। গুজব উড়িয়ে প্রয়াগরাজের জেলাশাসক রবীন্দ্র মান্দার বুধবার জানালেন, পূর্ব নির্ধারিত দিনেই কুম্ভ মেলা সমাপ্ত হচ্ছে।
এদিকে ত্রিবেণীর দূষিত জল নিয়ে তরজা অব্যাহত। মঙ্গলবার কেন্দ্রের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের রিপোর্ট উড়িয়ে দিয়েছেন যোগী। তিনি পালটা দাবি করছেন, পুণ্যস্নান তো বটেই, এমনকী আচমনের জন্য পানেরও যোগ্য প্রয়াগরাজের নদীর জল। এইসঙ্গে ‘কুম্ভের জলে স্নানে শরীরের ক্ষতি হতে পারে’, বিরোধীরা এমন মিথ্যে প্রচার চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
