সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চব্বিশের লোকসভা ভোটের (LokSabha Election) আগে বিরোধী ঐক্য শক্তিশালী করতে তোড়জোড়। রবিবার দিল্লিতে আপ (AAP) সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে দেখা করেছিলেন জেডি(ইউ) সুপ্রিমো তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। তারপর তিনি দেখা করতে চলেছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের (Mallikarjun Kharge) সঙ্গে। এদিকে, মঙ্গলবার কলকাতায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করবেন কেজরিওয়াল। ইতিমধ্যে বিরোধী ৪ নেতার সঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমোর সাক্ষাৎ হয়ে গিয়েছে। ফলে বিরোধী জোটের পালে হাওয়া লাগছে, তা স্পষ্ট।
আমলাদের নিয়োগ ও বদলি নিয়ে দিল্লি (Delhi) প্রশাসনের হাত থেকে বিশেষ ক্ষমতা কেড়ে নিতে নয়া অর্ডিন্যান্স জারি করেছে কেন্দ্র। সংসদের পরবর্তী অধিবেশনে তা পেশ এবং পাশ করানো লক্ষ্য। আর তা রুখতেই সমস্ত বিরোধী দলকে একজোট করার উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল তাঁদের দ্বারস্থ হচ্ছেন। রবিবার দিল্লিতে নিজের বাসভবনে তার সূচনা করে দিয়েছেন। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী, এনডিএ (NDA) জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসা বর্ষীয়ান নেতা নীতীশ কুমারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন আপ সুপ্রিমো। মঙ্গলবার যে তিনি কলকাতায় আসছেন, তার কারণও সেটাই।
[আরও পড়ুন: ‘ঘুম আসত না…’, অক্ষয়ের সঙ্গে বাগদান! সম্পর্ক ভাঙা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কান্না রবিনার]
এদিকে, নীতীশ এবার যাচ্ছেন কংগ্রেস মল্লিকার্জুন খাড়গের কাছে। বিরোধী জোটের রাশ নিজেদের হাতে রাখতে চায় কংগ্রেস, এমন অভিযোগ একাধিকবার শোনা গিয়েছে অন্যান্য বিরোধী নেতানেত্রীদের মুখে। তা নিয়ে বিস্তর ক্ষোভ উগরে দিয়েছে তৃণমূলও। সম্প্রতি কর্ণাটকে নবনির্বাচিত কংগ্রেস সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে ব্রাত্য ছিল আপ, ভারত রাষ্ট্র সমিতির (BRS) মতো কয়েকটি বিরোধী দল। আমন্ত্রিত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নীতীশ কুমাররা। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, কেজরিওয়াল, কেসিআরদের তেমন গুরুত্ব দিচ্ছে না কংগ্রেস। আর সেই জায়গা থেকেই সম্ভবত কেজরি ও খাড়গের মধ্যে দৌত্য করছেন নীতীশ কুমার।
[আরও পড়ুন: কাশ্মীরে জি-২০ সম্মেলনের আগেই PoKতে বিলাওয়াল, ভারতকে তীব্র কটাক্ষ পাক বিদেশমন্ত্রীর]
সম্প্রতি নানা সময়ে নীতীশ কুমার বিরোধী দলের ৫ নেতানেত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন। তার মধ্যে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রয়েছেন মল্লিকার্জুন খাড়গেও। এবার কেজরিওয়ালের সঙ্গে সাক্ষাতের পরই ফের খাড়গের সঙ্গে তাঁর দেখা করতে যাওয়া বিরোধী জোটের সাপেক্ষে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।