সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নীতীশ কুমার আজন্ম লালুপ্রসাদ যাদবের পরিবারতন্ত্রের বিরোধিতা করে গিয়েছেন। জোটসঙ্গী বিজেপি বরাবর তোপ দেগে আসছে কংগ্রেসের পরিবারতন্ত্রকে। অথচ বিহারের ভোটে জেডিইউ-বিজেপি জোট যার মুখে বাজি ধরতে চাইছে তিনিই পরিবারতন্ত্রের ফসল। কথা হচ্ছে নীতীশ কুমারের ছেলে নিশান্ত কুমারের। দীর্ঘদিন ধরেই নিশান্তকে জেডিইউয়ের মুখ হিসাবে তুলে ধরার দাবি উঠছে দলের অন্দরে। এবার সম্ভবত সেই দাবিতে সিলমোহর পড়তে চলেছে। শোনা যাচ্ছে, শুধু দলের নেতৃত্বে আসা নয়, নিশান্ত কুমার বিধানসভা নির্বাচনেও লড়তে চলেছেন।
আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে বিহারের বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। বিজেপির তরফে ইতিমধ্যেই ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে, বিহারে এনডিএ লড়বে নীতীশ কুমারের নেতৃত্বেই। কিন্তু নীতীশের সাম্প্রতিক কার্যকলাপে সংশয় তৈরি হয়েছে জেডিইউয়ের অন্দরেই। আসলে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী অসুস্থ। সাম্প্রতিক অতীতে প্রকাশ্যেই একাধিক 'অসংলগ্ন' আচরণ করতে দেখা গিয়েছে। যা শুধু যে নীতীশের ভাবমূর্তিতে আঘাত করছে তা-ই নয়, একই সঙ্গে এনডিএর সম্ভাবনাকেও ধাক্কা দিচ্ছে। সেকারণেই নীতীশের ছেলেকে সক্রিয় করতে চাইছে দল।
৪৯ বছরের নিশান্ত কুমার দীর্ঘদিন লোকচক্ষুর আড়ালে থেকে দলের স্ট্র্যাটেজি তৈরি করে গিয়েছেন। তবে গত কয়েক মাসে তিনি প্রকাশ্যে আসা শুরু করেছেন। দলের মিটিং-মিছিলে দেখা যাচ্ছে। এমনকী পোস্টারেও নীতীশের পাশে নিশান্তের মুখ দেখা যাচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, দলের একটা বড় অংশ চাইছে নীতীশের বদলে নিশান্তকে মুখ করেই এগোক জেডিইউ। এমনকী বিধানসভা নির্বাচনে নিশান্তের লড়া উচিত বলেও মনে করছে দলের একাংশ। নীতীশের ঘনিষ্ঠ অনুগামী হিসেবে পরিচিত নালন্দার সাংসদ কুশলেন্দ্র কুমার তো নিশান্তের জন্য আসনও বেছে ফেলেছেন। তিনি বলছেন, "আমার সংসদীয় কেন্দ্রের অন্তর্গত ইসলামপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নিশান্ত যাতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, সেই দাবি উঠেছে। ভোটে লড়লে নিশান্ত অবশ্যই জিতবেন।"
যদিও নিশান্ত এখনও সরাসরি সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেননি। তার অন্যতম কারণ সম্ভবত 'পরিবারতন্ত্রে'র দাগ লেগে যাওয়ার আশঙ্কা। শেষ পর্যন্ত যদি নিশান্ত সক্রিয় রাজনীতিতে ঢুকে পড়েন, তাহলে বিহারে লালু পরিবারের বিরুদ্ধে ওঠা পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ ভোঁতা হয়ে যাবে।
