সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুধু আফগারি দুর্নীতি নয়, আপশাসনে দিল্লি স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের অবস্থাও অত্যন্ত বেহাল। সম্প্রতি দিল্লি বিধানসভায় বিজেপি সরকারের পেশ 'কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল অফ ইন্ডিয়া' (সিএজি) রিপোর্টে প্রকাশ্যে এল এমনই তথ্য। বিজেপি সরকারের পেশ করা রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, দিল্লির মহল্লা ক্লিনিক ও রাজ্যসরকার পরিচালিত হাসপাতাল গুলির অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়।

নয়া সরকারের রিপোর্ট অনুযায়ী, দিল্লির স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতিতে যে তহবিল বরাদ্দ ছিল তার সদ্ব্যবহার করা হয়নি। দিল্লির সরকার পরিচালিত ২৭টি হাসপাতালের মধ্যে ১৪টিতে নেই আইসিইউ সুবিধা। ৬টি হাসপাতালে নেই ব্লাডব্যাঙ্ক। ৮টি হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা নেই, ১২টিতে কোনও অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা নেই। মহল্লা ক্লিনিক ও আয়ুষ ডিসপেনসারিগুলির হালও অত্যন্ত বেহাল। বেশিরভাগ মহল্লা ক্লিনিকে ন্যুনতম পরিষেবা যেমন শৌচাগার, বিদ্যুৎ না থাকলে জেনারেটরের সুবিধা এমনকী চিকিৎসা সংক্রান্ত টেবিল পর্যন্ত নেই।
শুধু তাই নয়, অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও অতিশীর এতবছরের সরকারে দিল্লির ১৫টি সরকারি হাসপাতালে কোনও মর্গ নির্মাণ করা হয়নি। সামগ্রিক ভাবে দিল্লির সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা ৫০ শতাংশের বেশি চিকিৎসকের ঘাটতি রয়েছে। ২১ শতাংশ নার্সের ঘাটতি ও ৩৮ শতাংশ ঘাটতি রয়েছে স্বাস্থ্যকর্মীর। কিছু কিছু হাসপাতালে ৫০ থেকে ৯৬ শতাংশ চিকিৎসকের ঘাটতি রয়েছে। এমনকি করোনাকালে আপ সরকারকে কেন্দ্রের তরফে যে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল তার সদ্ব্যবহার করতেও ব্যর্থ হয়েছে কেজরিওয়ালের সরকার।
উল্লেখ্য, সদ্য শেষ হওয়া দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে বিরাট জয় পেয়ে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। এরপরই পূর্ব প্রতিশ্রুতি মতো বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশন ডেকে অতীতের আপ সরকারের অনিয়মের খতিয়ান তুলে ক্যাগ রিপোর্ট পেশ করা হয়। ১৪টি বিষয়ের উপর পেশ করা এই রিপোর্টে নজর ছিল সরকারের আবগারি নীতির দিকে। ক্যাগের রিপোর্টে দেখা যায়, সরকারের 'ভুল' নীতির জেরে ২০০২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এই ঘটনায় তদন্তের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিধানসভার স্পিকার। এবার স্বাস্থ্যক্ষেত্রে অনিয়মের খতিয়ান প্রকাশ্যে এল নয়া রিপোর্টে।