shono
Advertisement

উত্তর-পূর্বে শান্তি ফেরানোর উদ্যোগ, আলোচনার জন্য দিল্লিতে আমন্ত্রিত নাগা জঙ্গিগোষ্ঠী NSCN-IM

'স্বাধীন' নাগাভূমি বা ‘নাগালিম’ গড়ার ডাক বহুদিনের৷
Posted: 10:55 AM Sep 28, 2021Updated: 01:54 PM Sep 28, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শান্তি আলোচনার জন্য দিল্লিতে আমন্ত্রিত নাগা বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন এনএসসিএন (আইএম)। সোমবার কোহিমায় সাংবাদিকদের এমনটাই জানিয়েছেন নাগাল্যান্ডের (Nagaland) মুখ্যমন্ত্রী নেইফু রিও। ফলে উত্তর-পূর্ব ভারতে কয়েক দশক ধরে চলে আসা বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনে ইতি পড়ার সম্ভাবনা বাড়ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: Petrol-Diesel price hike: ফের ঊর্ধ্বমুখী পেট্রল-ডিজেলের মূল্য, কলকাতায় লিটারপিছু দাম কত?]

গতকাল নাগাল্যাণ্ডের রাজধানী কোহিমায় একটি সরকারি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রিও। সেখানেই নাগা বিদ্রোহীদের সঙ্গে শান্তি আলোচনা নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। রিও জানিয়েছেন, আলোচনার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যেতে তাঁকে ও অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে দায়িত্ব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রিও বলেন, “আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের মতামত অপর পক্ষকে (এনএসসিএন) জানাচ্ছি। কয়েকটি বিষয়ে মতবিরোধের জেরে বছর দুয়েক থমকে ছিল শান্তি আলোচনা। এবার দীর্ঘদিন পরে কেন্দ্র ও এনএসসিএন (আইএম) উভয় পক্ষই আলোচনা প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যেতে রাজি হয়েছে।

প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই ডিমাপুরে নাগা জঙ্গিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা ও নেইফু রিও। ওই বৈঠক সম্পর্কে বলতে গিয়ে অসমের (Assam) মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তাঁকে উলফার (পরেশপন্থী) মতো জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গেও আলোচনায় বসার সবুজ সংকেত দিয়েছেন। এনএসসিএন (আইএম)-এর প্রধান থুইংগালেং মুইভার সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন হিমন্ত ও রিও। যদিও বৈঠকে ঠিক কী কথা হয়েছে, তা জানা যায়নি। পরে স্থানীয় এক রিসর্টে বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গেও বৈঠক করেন হিমন্ত।

নাগাল্যান্ড, মণিপুর, অরুণাচল প্রদেশ, মিজোরাম, অসম ও মায়ানমারের বিস্তীর্ণ অঞ্চল নিয়ে নাগা স্বাধীনভূমি বা ‘নাগালিম’ গড়ার ডাক বহুদিনের৷ এই দাবিতে অনেক দিন ধরেই জঙ্গি আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে নাগা বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন এনএসসিএন (NSCN)৷ সংগঠনটি দু’ভাগ হয়ে যাওয়ার পর মুইভা গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে কেন্দ্র৷ ২০১৫ সালে এই বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনটির সঙ্গে শান্তিচুক্তি করে মোদি সরকার। কিন্তু সমস্ত আলোচনা থমকে আছে সংগঠনটির দু’টি দাবির উপর। সেগুলি হচ্ছে নাগাল্যাণ্ডের জন্য পৃথক পতাকা এবং পৃথক সংবিধান। যা কিছুতেই মানতে নারাজ দিল্লি। 

[আরও পড়ুন: প্রতিরক্ষায় ‘আত্মনির্ভর’ ভারত, ‘আকাশ প্রাইম’ মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ করল DRDO]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement