মাসুদ আহমেদ, শ্রীনগর: ফের গুলির লড়াইতে উত্তপ্ত উপত্যকা। নিরাপত্তা বাহিনী এবং জঙ্গিদের গুলির লড়াইয়ে কুলগামে (Kulgam) নিকেশ এক সন্ত্রাসবাদী। শহিদ এক পুলিশকর্মী। জখম তিন সেনা জওয়ান এবং ২ জন নাগরিক। তাঁদের চিকিৎসা চলছে। এখনও এলাকায় জারি তল্লাশি।
জম্মু-কাশ্মীরের কুলগামে জঙ্গিরা গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে, সে খবর আগেই পায় নিরাপত্তা বাহিনী। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে ওই এলাকায় হানা দেয় যৌথ নিরাপত্তা বাহিনী। সেনা ও পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে যায় জঙ্গিরা। গুলি চালাতে শুরু করে তারা। পালটা জবাব দেয় যৌথ নিরাপত্তা বাহিনী। শুরু হয় গুলির লড়াই। তাতেই একজন জঙ্গি নিকেশ হয়। শহিদ এক পুলিশকর্মী। তিনজন সেনা জওয়ান এবং ২জন সাধারণ নাগরিক জখম হয়েছেন।
[আরও পড়ুন: কলকাতায় ফের শুটআউট, দিনেদুপুরে আমহার্স্ট স্ট্রিটে চলল গুলি, জখম ১]
কাশ্মীরের পুলিশ আধিকারিক বিজয় কুমার জানান ওই জঙ্গির পরিচয় জানা গিয়েছে। বাবর নামে পরিচিত ওই জঙ্গি। পাকিস্তানের জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের হয়ে কাজ করত সে। ২০১৮ সাল থেকে শোপিয়ান এবং কুলগামে ঘটা নানা নাশকতামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল বাবর। তার কাছ থেকে একটি রাইফেল, একটি পিস্তল এবং দু’টি গ্রেনেড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এখনও জারি তল্লাশি।
সেনা সূত্রে পাওয়া এক পরিসংখ্যান থেকে অনুযায়ী, নতুন বছরে এখনও পর্যন্ত অন্তত ১৪ জন সন্ত্রাসবাদীর মৃত্যু হয়েছে। ভারত-পাক সীমান্তের এই এলাকায় সর্বদাই জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ স্থল হিসেবে সুবিধাজনক। শীতের মরশুমে বরফঢাকার পাহাড়ি পথ পেরিয়ে ভারতে ঢোকা পাক সন্ত্রাসবাদীদের স্থায়ী পরিকল্পনার মধ্যে অন্যতম। আর সেই কারণেই নিয়মিত ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে এসব স্পর্শকাতর এলাকায় কড়া নজরদারি চলে। প্রায়ই অস্ত্র হাতে জঙ্গি মোকাবিলা করতে হয়। সেনার এই সতর্কতাতেই বারবার ব্যর্থ হয় জঙ্গিবাহিনী।