সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত বিরোধী কাজের সঙ্গে যুক্ত অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিরা, এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছিলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু (Kiren Rijiju)। তাঁর এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে সরব হল বিরোধী দলগুলি। দেশের আইনমন্ত্রী হয়ে প্রমাণ ছাড়া কী করে এহেন মন্তব্য করতে পারেন রিজিজু, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। আপের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, নিজের মন্তব্যের জন্য় ক্ষমা চাইতে হবে রিজিজুকে।
শনিবার এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রিজিজু বলেন, “কিছু অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, এই ৩-৪ জন। আর কিছু সমাজকর্মী ভারত-বিরোধী গ্যাংয়ের মতো আচরণ করছেন। ওরা চাইছেন আদালত বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করুক। সরকার এবং প্রশাসন বিচারবিভাগকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে, এমনই দাবি করেন এই প্রাক্তন বিচারপতিরা।” সেই সঙ্গে আইনমন্ত্রীর সাফ হুঁশিয়ারি, যাঁরা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছেন, তাঁদের চরম মূল্য দিতে হবে।
[আরও পড়ুন: ‘বাংলা ভাষা বিলুপ্তপ্রায়’, ইংরাজি মাধ্যম স্কুলে ছাঁটাইয়ের চিঠি শিক্ষিকাকে, তুঙ্গে বিতর্ক]
এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই তৃণমূলের (TMC) রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার বলেন, “একজন মন্ত্রী এইভাবে বক্তব্য রাখতে পারেন না। নিজের মন্তব্যের পক্ষে প্রমাণ দিতে হবে। বিচারপতিদের চরম মূল্য দিতে হবে, এমনভাবে হুমকি দেওয়া যায় না।” কংগ্রেস, সিপিএম, আপ-সহ একাধিক দলের তরফেই রিজিজুর মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করা হয়।
দিল্লির সদ্য নিযুক্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ সাফ জানিয়ে দেন, ক্ষমা চাইতে হবে রিজিজুকে। সৌরভের মতে, “লক্ষ্মণরেখা পার করা উচিত নয় আইনমন্ত্রীর। সুপ্রিম কোর্টকে (Supreme Court) নিয়ে গোটা ভারত গর্বিত। সেই আদালতের প্রাক্তন আইনজীবীদের ভারত বিদ্বেষী বলার বিষয়টি অত্যন্ত লজ্জাজনক। সারা দেশের মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত রিজিজুর।”