২৬ জনের রক্তে ভেসেছে ভূস্বর্গ। পহেলগাঁওয়ে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের হামলার প্রতিবাদে ফুঁসছে ভারত। ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের উপর 'কূটনৈতিক সার্জিক্যাল স্ট্রাইক' করেছে নয়াদিল্লি। সিন্ধু জলচুক্তি বাতিল করছে ভারত। এছাড়াও বন্ধ ওয়াঘা-আটারি সীমান্ত। পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিল করা হবে এবং বর্তমানে যেসব পাকিস্তানিরা ভারতে রয়েছেন তাঁদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়তে হবে। এছাড়াও ভারত এবং পাকিস্তান-দুই দেশের হাই কমিশন থেকেই সরিয়ে নেওয়া হবে সামরিক পরামর্শদাতাদের। এবার কি তাহলে সরাসরি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করবে ভারত?
রাত ৯: সরকারের পাশে থাকার বার্তা তৃণমূলেরও। সর্বদল বৈঠকের পর তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল কেন্দ্রের পাশে রয়েছে। দেশের স্বার্থে তারা যা সিদ্ধান্ত নেবে, সেটা সমর্থন করা হবে।" সূত্রের খবর, সর্বদল বৈঠকে কেন্দ্র স্বীকার করেছে যে পহেলগাঁওয়ে নিরাপত্তার গাফিলতি ছিল। গোয়েন্দাদের অনুমতি না নিয়েও সম্ভবত পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল বৈসরণ উপত্যকা। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, কোথাও তো গাফিলতি হয়েছিল। সেই গলদ খুঁজে বের করতে হবে।
রাত পৌনে ৯: পহেলগাঁও হামলায় নিহত ২৬ জনের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি আরও জানান, ভারত-পাক সম্পর্কের টানাপোড়েনের সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে যেন কোনও সমস্যা তৈরি না হয়, সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু সর্বদল বৈঠকের পর বলেন, প্রত্যেকটি দল সরকারের পাশে রয়েছে। আরও কঠোর পদক্ষেপ করতে চলেছে কেন্দ্র। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিচ্ছে সরকার।
রাত সাড়ে ৮: ২০ দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে পহেলগাঁও হামলা নিয়ে বৈঠক করেছে বিদেশমন্ত্রক। তারপরেই একের পর এক রাষ্ট্রনেতার ফোন আসছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে। ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ-সকলেই ফোন করে পহেলগাঁও হামলার নিন্দা করেছেন। অন্যদিকে, সীমান্তে সেনা সংখ্যা বাড়াচ্ছে পাকিস্তানও। সূত্রের খবর, রাওয়ালপিন্ডির সেনাঘাঁটিকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় বাড়ছে পাক সেনার সংখ্যা।
রাত সোয়া ৮: 'কেন্দ্র যা সিদ্ধান্ত নেবে, যা পদক্ষেপ করবে তাতে সমর্থন করবে বিরোধীরা', সর্বদল বৈঠক শেষে স্পষ্ট জানালেন রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, জম্মু-কাশ্মীরে শান্তি ফেরানোর জন্য যা পদক্ষেপ করা প্রয়োজন, সেটা করতে হবে। এই সময়ে দেশ ঐক্যবদ্ধ রয়েছে।
রাত ৮: বৃহস্পতিবার ২৮ জন পাকিস্তানি ভারত ছেড়েছেন। পাকিস্তান থেকে ভারতে এসেছেন ১০৫ জন। আটারি সীমান্ত বন্ধ থাকলেও সীমান্ত পারাপার করছেন দুই দেশের মানুষ। অন্যদিকে, শুক্রবার অনন্তনাগে যাবেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। পহেলগাঁও হামলায় আহতদের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। পহেলগাঁও হামলার তীব্র নিন্দা করে প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেছেন জর্ডানের রাজা।
রাত পৌনে ৮: সর্বদল বৈঠক শেষ হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই 'আক্রমণ' অভ্যাস শুরু করল ভারতীয় বায়ুসেনা। রাফালে যুদ্ধবিমানের নেতৃত্বে সেন্ট্রাল সেক্টরে সক্রিয় হয়ে উঠেছে ভারতীয় বায়ুসেনার প্রত্যেকটি যুদ্ধবিমান। প্রতিরক্ষা সূত্রে খবর, ভূখণ্ডে ঢুকে যুদ্ধ করার পাশাপাশি ইলেকট্রনিক যুদ্ধের জন্যও প্রস্তুতি নিচ্ছে বায়ুসেনা। দেশের পূর্বদিক থেকে বিমান-সহ নানা অস্ত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে বায়ুসেনা সূত্রে খবর। হাসিমারা এবং আম্বালা থেকে রাফালে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
সন্ধে সাড়ে ৭: শেষ হল সর্বদলীয় বৈঠক। আলোচনা শেষে আওয়ামি ইত্তেহাদের বিধায়ক খুরশিদ আহমাদ শেখ জানান, 'এই বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক সদস্য একমত হয়ে একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশের স্বার্থে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক বলে মনে করছে কেন্দ্র, সেই পদক্ষেপই করবে তারা।'
সন্ধে সোয়া ৭: ভারত-পাক উত্তেজনার আবহেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানান, পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। হামলার তীব্র নিন্দাও করেছেন তিনি। নৃশংস হামলা নিয়ে নেতানিয়াহুকে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীও।
সন্ধে ৭: জঙ্গি হামলায় বিধ্বস্ত হলেও কাশ্মীরের মানবিকতা অটুট। পর্যটকদের নিরাপদে শ্রীনগর পর্যন্ত পৌঁছে দিতে ফ্রি অটো, ট্যাক্সি সার্ভিস চালাচ্ছে স্থানীয় ট্যুরিস্ট অ্যাসোসিয়েশন। রেলস্টেশন, এয়ারপোর্ট পৌঁছে দিতে ফ্রি সার্ভিস দিচ্ছে শ্রীনগরের অ্যাসোসিয়েশন। অন্যদিকে, পহেলগাঁও ইস্যুতে একঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলছে সর্বদলীয় বৈঠক। যোগ দিয়েছেন আসাদউদ্দিন ওয়েইসিও।
সন্ধে পৌনে ৭: ওয়াঘা-আটারি সীমান্তে প্রথামাফিক বিটিং দ্য রিট্রিট হলেও সেখানে করমর্দন করল না দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। বিটিং দ্য রিট্রিটের সময় বন্ধ রাখা হয়েছিল দরজাও।
সন্ধে সাড়ে ৬: পাকিস্তানি আকাশসীমা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে ঘুরপথে চলবে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। উড়ান সংস্থার তরফে দুঃখপ্রকাশ করে জানানো হয়, উত্তর আমেরিকা, ব্রিটেন, ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যগামী বিমানগুলিকে ঘুরপথে যেতে হবে।
সন্ধে সোয়া ৬: পুলওয়ামা-পহেলগাঁও নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে গ্রেপ্তার অসমের বিধায়ক আমিনুল ইসলাম। অন্যদিকে, সর্বদল বৈঠকে দুই মিনিটের নীরবতা পালন করা হল পহেলগাঁওয়ে মৃতদের উদ্দেশ্যে।
সন্ধে ৬: শুরু হল সর্বদল বৈঠক। অন্যদিকে, শুক্রবার শ্রীনগর যাচ্ছেন সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী। স্থানীয় সেনাকর্তাদের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। পহেলগাঁওয়ের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবেন সেনাপ্রধান। পহেলগাঁওয়ে যে চার জঙ্গি হামলা চালিয়েছিল, তাদের মধ্যে ছিল দুই পাকিস্তানি। তাদের ছবি প্রকাশ করে অনন্তনাগ থানার তরফে জানানো হয়েছে, এই দুই জঙ্গিকে ধরিয়ে দিলে ২০ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।
বিকেল পৌনে ৬: ভুলবশত সীমান্ত পেরিয়ে পাক রেঞ্জার্সের হাতে আটক বিএসএফ জওয়ান। বৃহস্পতিবার কর্তব্যরত অবস্থায় তিনি পাঞ্জাবের ফিরোজপুর এলাকার সীমান্ত পার হয়ে পাক ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েন। অন্যদিকে, মেডিক্যাল ভিসায় ভারতে থাকা পাকিস্তানিদের ৫ দিনের মধ্যে ভারত ছাড়তে হবে বলে জানাল কেন্দ্র।
বিকেল সাড়ে ৫: আজ মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের ভারত সফরের শেষ দিন। তিনি ভারত ছাড়ার আগে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গেও আলোচনায় বসে বিদেশমন্ত্রক। হাজির ছিলেন চিনের রাষ্ট্রদূতও। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে ২০টি দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা বলেন বিক্রম মিসরি। পহেলগাঁও সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয় তাঁদের।
বিকেল সোয়া ৫: পহেলগাঁও হামলার পর ভারতে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেল পাকিস্তান সুপার লিগের সম্প্রচার। ভারতীয় টিভি চ্যানেলে পাক লিগের খেলা দেখানো হয় না। কিন্তু এতদিন ফ্যানকোড অ্যাপে মহম্মদ রিজওয়ান-বাবর আজমদের দ্বৈরথ দেখতে পেতেন ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা। পহেলগাঁও হামলার পরে ফ্যানকোডের তরফ থেকে জানানো হয়, পিএসএল সম্প্রচার করবে না তারা।
বিকেল ৫: ২০টি দেশের রাষ্ট্রদূতকে তলব শাহ-জয়শংকরের। জার্মানি, জাপান, পোল্যান্ড, রাশিয়া, ব্রিটেনের মতো দেশের রাষ্ট্রদূতরা রয়েছেন সেই তালিকায়। পহেলগাঁও হামলা নিয়ে তাঁদের জানানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। ফলে জল্পনা চলছে, তাহলে কি পাকিস্তানের উপর আক্রমণ শানানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে কেন্দ্র? তাই কি বন্ধু রাষ্ট্রের দূতদের সঙ্গে পরামর্শ করছে নয়াদিল্লি?
বিকেল সাড়ে ৪: রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করতে গেলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। তবে পহেলগাঁও হামলা নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে কিনা, তা এখনও জানা যায়নি।
বিকেল ৪: পহেলগাঁও হামলা নিয়ে আলোচনা করতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সর্বদল বৈঠক ডেকেছে কেন্দ্র। সন্ধে ৬টায় সর্বদল বৈঠকে সব গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলকেই আমন্ত্রণ জানিয়েছে কেন্দ্র। ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গোটা পরিস্থিতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলিকে অবহিত করবেন।
