সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার পর ১২ দিন পার। কাশ্মীরে ভারত-পাক নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বেড়েই চলেছে উত্তেজনা। শনিবার রাত থেকে ফের নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গুলিবর্ষণ করল পাক সেনা। যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারতও। এই নিয়ে টানা ১০ দিন বিনা প্ররোচনায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করল পাক সেনা।
ভারতীয় সেনার তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ৩ মে রাত থেকে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বিনা প্ররোচনায় গুলিবর্ষণ করেছে পাকিস্তান। ছোট বন্দুক দিয়ে লাগাতার গুলিবর্ষণ করা হয়। মূলত কুপওয়ারা, নৌসেরা, সুন্দেরবানি, উরি এবং আখনুর সেক্টরে গুলি চালায় পাক সেনা। যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনাও। তবে দুপক্ষের গুলিবর্ষণে কোনও হতাহতের খবর নেই। পহেলগাঁও হামলার পর গত ২৪ মে প্রথম সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে পাকিস্তান। তারপর প্রতিদিনই নিয়ম করে একই কাণ্ড ঘটানো হচ্ছে।
লাগাতার সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন নিয়ে গত মঙ্গলবারই পাক সেনাকে সতর্ক করে ভারতীয় সেনা। সেদিন হটলাইনে কথা হয় দুই দেশের সেনা আধিকারিকদের মধ্যে। সেখানেই ইসলামাবাদকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সীমান্তে সংঘর্ষ নিয়ে যেন সতর্ক হয় তারা। কিন্তু তারপরও পাকিস্তানের অসংযত আচরণ থামছে না।
এদিকে পহেলগাঁও হামলার পর যত দিন যাচ্ছে দিল্লিতে তত বাড়ছে তৎপরতা। ওই হিন্দু নিধনের পর মোদি সরকারের লক্ষ্য মূলত দুটি। জম্মু ও কাশ্মীরের মাটি থেকে সন্ত্রাসের শিকড় পুরোপুরি উপড়ে ফেলা ও সন্ত্রাসের ইন্ধনদাতা পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দেওয়া। এই আবহেই শনিবার দিল্লিতে জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার সঙ্গে সিক্রেট বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ৩০ মিনিটের এই রুদ্ধদ্বার বৈঠকে পহেলগাঁও হামলা উদ্ভূত নিরাপত্তা পরিস্থিতি-সহ একাধিক বিষয়ে কথা হয় দুজনের। যদিও তাঁদের আলোচনার বিষয়বস্তু প্রকাশ্যে আনা হয়নি। ওমরের সঙ্গে বৈঠকের পর দিল্লিতে নৌসেনা প্রধানের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী। একদিকে মোদির পরপর বৈঠক, অন্যদিকে সীমান্তে লাগাতার পাক উসকানি। সার্বিকভাবে দিল্লি এবং কাশ্মীরের পরিস্থিতি দেখে প্রশ্ন এখন একটাই, যুদ্ধের মেঘ কি ঘনিয়ে আসছে?
