সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাস ডেস্ক: বিশ্ব পরিবেশ দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৃক্ষরোপণেও সিঁদুরের ছোঁয়া। বৃহস্পতিবার সকালে ৭ লোক কল্যাণ মার্গের সরকারি বাসভবনে একটি সিঁদুর গাছ রোপণ করলেন মোদি। এই বিষয়ে এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টে তিনি জানান, গুজরাট সফরে ওই চারাগাছ তাঁকে উপহার দিয়েছেন গুজরাটের কচ্ছের একদল মহিলা, যাঁরা ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছিলেন।
এক্স হ্যান্ডেলে বৃক্ষরোপণের দু'টি ছবি পোস্ট করেছেন মোদি। হিন্দিতে লিখেছেন, "১৯৭১ সালের যুদ্ধে সাহস ও বীরত্বের এক অসাধারণ উদাহরণ স্থাপন করা কচ্ছের সাহসী মা ও বোনেরা সম্প্রতি আমার গুজরাট সফরের সময় একটি সিঁদুর গাছ উপহার দিয়েছিলেন। আজ, বিশ্ব পরিবেশ দিবসে নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে সেই গাছটি রোপণ করার সৌভাগ্য অর্জন করেছি আমি। এই গাছ আমাদের দেশের নারীশক্তির বীরত্ব ও সাহসিকতার প্রতীক।" সংবাদসংস্থা এএনআই প্রধাণমন্ত্রীর বৃক্ষরোপণের একটি পোস্ট করেছে সমাজমাধ্যমে।
গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে ২৬ নিরস্ত্রকে হত্যা করে লস্করের সঙ্গী সংগঠন টিআরএফের চার জঙ্গি। তাদের পথ দেখিয়ে নিয়ে যায় কাশ্মীরের স্থানীয় এক জঙ্গি। এই হামলার জবাবে ৭ মে ভোর-রাতে অপারেশন চালায় ভারত। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পাকিস্তান ও পিওকে-র নয়টি জঙ্গিঘাঁটি। এরপর ভারতের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির জনবহুল এলাকা এবং সেনাঘাঁটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় পাকিস্তান। সেই হামলা প্রতিহত করার পাশাপাশি প্রত্যাঘাত করে ভারত। তাতেই তছনছ হয়ে গিয়েছে পাকিস্তানের অন্তত ১১টি বায়ু সেনাঘাঁটি। ভারতীয় সেনার অভিযানে নিহত হয়েছে ১০০ জনের বেশি জঙ্গি ও ৩৫-৪০ জন পাক সেনা। শেষ পর্যন্ত ইসলামাবাদের অনুরোধে সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয় নয়াদিল্লি।
সেনাবাহিনীর সেই বীরত্বকে সম্মান জানাতেই বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে গুজরাট সরকার। সূত্রের খবর, গুজরাটের কচ্ছ জেলায় ভারত-পাক সীমান্তের কাছে গড়ে উঠবে একটি স্মৃতিউদ্যান। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘সিঁদুর বন’। আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যেই এটির নির্মাণকাজ শেষ হয়ে যাবে বলে মনে করছেন সরকারি আধিকারিকরা। যদিও বিরোধী শিবিরের দাবি, ঝুলিতে অপারেশন সিঁদুরের ট্যাগ লাগিয়ে ভোট ভিক্ষে করছে বিজেপি।
