সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশেষ অধিবেশন শুরুর ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) মুখে নেহরুর নাম। পুরনো সংসদ সদস্যদের স্মৃতিচারণে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু (Jawaharlal Nehru) এবং তাঁর মন্ত্রীসভাকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন মোদি। নেহরুর পাশাপাশি লালবাহাদুর শাস্ত্রী, ইন্দিরা গান্ধী এবং মনমোহন সিংয়ের অবদানের কথাও নিজের ভাষণে তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, পুরনো সংসদ ভবনের বহু শোকেরও সাক্ষী। যেমন, তিন প্রধানমন্ত্রীকে তাঁদের কার্যকালে হারিয়েছিল এই সংসদ ভবন।
এদিন বক্তব্যের শুরুতেই জি-২০ সম্মেলনের সাফল্যের কথা তুলে ধরেন মোদি। তাঁর কথায়, “এটা কোনও দলের নয়, বরং দেশের সাফল্য।” চন্দ্রযানের ৩-এর ঐতিহাসিক অভিযান নিয়ে বলতে গিয়ে ভারতের বিজ্ঞানীদের তথা ইসরোকে অভিনন্দন জানান মোদি। এর পরেই সংসদের স্মৃতিচারণা করেন। তখনই মোদির মুখে নেহরু স্তুতির সাক্ষী হয় সংসদ ভবন। যা সচরাচর দেখা যায় না। এদিন পুরানো সংসদ ভবনের প্রায় আট দশকের যাত্রার কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “নেহরুজির মধ্যরাতের ভাষণ চিরকাল আমাদের অনুপ্রাণিত করবে। এই হাউসেই অটল বিহারী বাজপেয়ী বলেছিলেন, সরকার আসবে এবং যাবে, কিন্তু এই দেশ থাকবে।”
[আরও পড়ুন: ‘ওদের মুখে কষিয়ে থাপ্পড়’, এশিয়া কাপে ভারতের ‘ষড়যন্ত্র’ করার কুৎসায় চূড়ান্ত ক্ষুব্ধ গাভাসকর]
পাশাপাশি নেহরু মন্ত্রীসভারও প্রশংসা করেন মোদি। দুঃখপ্রকাশ করে জানান, তিন প্রধানমন্ত্রীকে তাঁদের কার্যকালে হারিয়েছিল এই সংসদ ভবন। প্রত্যেকেই কংগ্রেস সরকারের নেতৃত্বে ছিলেন। যথাক্রমে জওহরলাল নেহরু, লালাবাহাদুর শাস্ত্রী এবং ইন্দিরা গান্ধী। এদিন পিভি নরসিমা রাওকেও প্রশংসায় ভরিয়ে দেন। তাঁর কথায়, অগুন্তি সংসদ সদস্যের অবদানে গড়ে উঠেছে এই দেশ। যা ভারতীয় গণতন্ত্রের গর্ব।
[আরও পড়ুন: সিরাজকে একটা SUV উপহার দিন, আনন্দ মাহিন্দ্রার কাছে আবদার ভক্তর, ভাইরাল শিল্পপতির উত্তর]
সোমবার থেকে শুরু হয়েছে সংসদের বিশেষ অধিবেশন। তার আগে লোকসভার বাইরে দাঁড়িয়েই মিনিট পাঁচেকের জন্য ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। একাধিক বিষয় উঠে আসে তাঁর বক্তব্যে। মোদি বলেন, “এই বিশেষ অধিবেশন হয়তো দৈর্ঘ্যে অনেক ছোট। কিন্তু এই বিশেষ অধিবেশনের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ এই অধিবেশনেই বেশ কয়েকটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ” প্রসঙ্গত, চলতি অধিবেশনে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিল নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলেই জানা গিয়েছিল। তার মধ্যে রয়েছে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের মতো বিলও।