সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রদ্যুম্ন ঠাকুর হত্যাকাণ্ডে এবার হরিযানা পুলিশের বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ আনল সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, নির্দোষ কন্ডাক্টরকে অপরাধী প্রমাণ করতেই তদন্তের মুখ ঘুরিয়ে দিয়েছিল পুলিশ। পুরো ঘটনায় চার পুলিশকর্মীর ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
[ অন্ধ্রপ্রদেশে নৌকাডুবিতে মৃত বেড়ে ১৮, শোকজ্ঞাপন প্রধানমন্ত্রীর ]
প্রদ্যুম্নর হত্যাকারী যে কন্ডাক্টর নয়, তা আগেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তদন্তে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণই খুঁজে পায়নি পুলিশ। এমনকী কেন দ্বিতীয় শ্রেণির একটি বাচ্চাকে ওই কন্ডাক্টর খুন করবে তাও স্পষ্ট ছিল না। যৌনতার যে ইঙ্গিত পুলিশি তদন্তে ছিল, তাও ধোপে টেকেনি। ফলত নতুন করে ভাবনা শুরু করেন গোয়েন্দারা। আর তাতেই জানা যায়, আসল খুনি রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলেরই একাদশ শ্রেণির ছাত্র। প্রভাবশালীর ছেলে হওয়ায় স্কুল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের একাংশের সহযোগিতাতেই তাকে বাঁচিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। ফাঁসানো হয়েছিল নির্দোষ কন্ডাক্টরকে। এবার পুরো বিষয়টি আরও স্পষ্ট করল সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সাফ জানিয়েছে, তদন্তে হরিয়ানা পুলিশের গাফিলতি শুধু ছিল না, প্রমাণও লোপাট করা হয়েছে। কন্ডাক্টরকে হত্যাকারী সাজাতে একটি নতুন ছুরিও জোগাড় করা হয়েছিল। যদিও সেই ছুরি দিয়ে প্রদ্যুম্নকে খুন করা হয়নি। অভিযুক্ত ছাত্র খুনের পর সেটি বাথরুমের কমোডে ফেলে দিয়েছিল। স্থানীয় এক দোকান থেকেই ছুরিটি কিনেছিল সে। পরে জেরার মুখে দোষ স্বীকার করেছে ওই ছাত্র। ছুরি কোন দোকান থেকে কিনেছে তাও নিজের মুখে জানিয়েছে গোয়্ন্দাদের। এই প্রেক্ষিত গোয়েন্দাদের দাবি, হরিয়ানা পুলিশের তরফেই প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করা হয়েছিল। এবং এই বিষয়ে চার পুলিশকর্মীর ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
[ হাফিজকে নিকেশ করতে পারে ‘র’, পাকিস্তানের আতঙ্কে উৎফুল্ল খুরশিদ ]
অন্যদিকে নির্দোষ কন্ডাক্টর অশোক কুমারের স্ত্রী মমতা জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী বড় চক্রান্তের শিকার। এ কথা তিনি আগেও জানিয়েছিলেন। কিন্তু তখন তাতে কর্ণপাত করেনি কেউ। ফল্টে নিদারুন নির্যাতন করে অশোক কুমারের বয়ান আদায় করেছিল পুলিশ। এখন সিবিআই তদন্তে সব স্পষ্ট হচ্ছে। মমতার দাবি, সঠিক তদন্ত হোক। তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে যে অন্যায় হয়েছে তার ন্যায়বিচারই দাবি করেছেন তিনি।
The post প্রদ্যুম্ন হত্যাকাণ্ডে প্রমাণ লোপাট, সিবিআই নজরে ৪ পুলিশকর্মী appeared first on Sangbad Pratidin.