হেমন্ত মৈথিল, লখনউ: আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি শিবরাত্রি। আর সেদিনই শেষ শাহি স্নান। ৫০ দিনের মেলার সমাপ্তির দিন শিবরাত্রিতে মহাকুম্ভে পুণ্যের ডুব দিতে উন্মুখ পুণ্যার্থীরা। আর সেই কারণেই সেই সময় ভিড় আরও বাড়বে ত্রিবেণী সঙ্গমের কাছে। সেজন্য সচেতন জেলা প্রশাসন। এখন থেকেই শুরু কড়া পর্যবেক্ষণ। রবিবার জেলাশাসক রবীন্দ্র মানধাদ জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের পরিকল্পনায় ৫০ কোটির চেয়েও বেশি মানুষ মহাকুম্ভে ডুব দিয়েছেন। গোটা বিশ্ব একত্রিত হয়েছে এখানে। আর এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনিক স্তরে সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের সমস্ত আধিকারিক ও কর্মীরা দিনরাত এক করে পরিশ্রম করছেন। পুণ্যার্থীদের যাতে কোনওরকম সমস্যায় না পড়তে হয় তা নিশ্চিত করতে সব রকম বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। সতর্ক করা হয়েছে পুলিশকেও। আর পুরো বিষয়টিই নজরে রেখেছেন যোগী আদিত্যনাথ। স্থানীয় বাসিন্দা থেকে দূরাগত পুণ্যার্থী- সকলেরই যেন অভিজ্ঞতা ভালো হয় তা নিশ্চিত করার কথা বলেছেন তিনি। আর সেজন্য নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছেন মহাকুম্ভে প্রশাসনিক সমস্ত দায়িত্বপ্রাপ্তের সঙ্গে। মানধাদ জানিয়েছেন, জেলাশাসক, পুলিশ সুপারিটেন্ডেন্টের সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে।
জন সমাগমের নিরিখে বিশ্বের সমস্ত সমাবেশকে পিছনে ফেলে দিয়েছে ভারতের মহাকুম্ভ। ৫০ কোটিরও বেশি মানুষ স্নান করেছে প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে। এত মানুষের নিরাপত্তা এবং অন্যান্য ব্যবস্থাপনা সাফল্যের সঙ্গে করে ইতিমধ্যে ইতিহাস তৈরি করেছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। এবার মেলার শেষ ভিড়টিতে সকলের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করে 'মধুরেণ সমাপয়েৎ' করতে চায় উত্তরপ্রদেশ সরকার।
