সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় দু’মাস বাদে অচলাবস্থা কাটার ইঙ্গিত। কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের (Anurag Thakur) সঙ্গে দেখা করার পর দ্রুত বিক্ষোভ প্রত্যাহার করার ইঙ্গিত দিলেন কুস্তিগিররা। তাঁদের দাবি, আগামী ১৫ জুনের মধ্যে ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করার আশ্বাস দিয়েছে কেন্দ্র। তবে সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ না হলে ফের বিক্ষোভ শুরু হবে। ততদিন বিক্ষোভ বন্ধ রাখবেন কুস্তিগিররা।
উল্লেখ্য, গত শনিবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর (Amit Shah) সঙ্গে দেখা করেন আন্তর্জাতিক স্তরে পদকজয়ী কুস্তিগিররা। কিন্তু সেখানেও অধরা থেকে যায় রফাসূত্র। এদিন তাঁদের আমন্ত্রণ জানান অনুরাগ ঠাকুর। টুইটারে লেখেন, “কুস্তিগিরদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে ইচ্ছুক কেন্দ্র। আরও একবার তাঁদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।” এরপরই ক্রীড়ামন্ত্রীর বাড়িতে পৌঁছে যান সাক্ষীরা। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা আলোচনা হয় দু’পক্ষের মধ্যে।
[আরও পড়ুন: ‘মোদির মার্কিন সফর দুই দেশের সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে’, আশা শীর্ষ মার্কিন কর্তার]
কুস্তিগিররা মোট ৫টি দাবি রেখেছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রীর কাছে। যার মধ্যে অন্যতম হল ব্রিজভূষণের গ্রেপ্তারি, নতুন করে ফেডারেশনের নির্বাচন এবং তাতে ব্রিজভূষণ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহণ করতে না দেওয়া, কুস্তিগিরদের বিরুদ্ধে হওয়া যাবতীয় মামলা প্রত্যাহার করা। ফেডারেশনের মাথায় কোনও মহিলাকে বসানো। সূত্রের খবর, কুস্তিগিরদের তিনটি দাবি মেনে নিয়েছে সরকার। অনুরাগ ঠাকুর, বজরং পুনিয়াদের লিখিতভাবে একটি প্রস্তাব দিয়েছেন। সূত্রের খবর, ফেডারেশনে নতুন করে ভোট করানোর দাবি, কুস্তিগিরদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা প্রত্যাহারের দাবি এবং তাঁদের নিরাপত্তার দাবি কেন্দ্র মেনে নিয়েছে। ব্রিজভূষণের (Brij Bhushan Sharan Singh) বিরুদ্ধে আগামী ১৫ জুনের মধ্যে তদন্ত শেষ করার দাবিও মেনে নিয়েছে ক্রীড়ামন্ত্রক। তবে ব্রিজভূষণের গ্রেপ্তারির কোনও উল্লেখ ওই লিখিত প্রস্তাবে দেওয়া হয়নি।
[আরও পড়ুন: দাম্পত্য কলহের জের! দেড়বছরের ছেলেকে জলে ডুবিয়ে ‘খুন’ বাবার, চাঞ্চল্য নন্দকুমারে]
বৈঠক শেষ বিক্ষোভ নিয়ে সুর নরম করার ইঙ্গিত দিয়েছেন কুস্তিগিরদের নেতা বজরং পুনিয়া। তিনি জানিয়েছেন, সরকার যে প্রস্তাব দিয়েছে, সেটা নিয়ে বাকি কুস্তিগির, খাপ পঞ্চায়েত এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গে আলোচনা করবেন তাঁরা। তারপর বিক্ষোভ প্রত্যাহার নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। বজরং ইঙ্গিত দিয়েছেন, ১৫ জুন পর্যন্ত বিক্ষোভ স্থগিত থাকবে। তারপর যদি ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে ফের বিক্ষোভ শুরু হবে।