সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন বছরে জগন্নাথ দর্শনার্থীদের জন্য সুখবর। নববর্ষের রাতে অতিরিক্ত সময় খোলা থাকবে পুরীর মন্দির। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, রীতি মেনে জগন্নাথ-বলরাম-শুভদ্রার বিশ্রামের জন্য মন্দির মাত্র ৩ ঘণ্টা বন্ধ রাখা হবে। বাকি সময় দর্শনার্থীদের জন্য তা উন্মুক্ত থাকবে। অর্থাৎ ভোর ৫টার পরিবর্তে ১ জানুয়ারি রাত ২টোয় খোলা হবে মন্দির।
গত সোমবার মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, যেহেতু উৎসবের দিনে পুরীতে পুন্যার্থীদের ভিড় অন্যান্য সময়ের চেয়ে ৩ থেকে ৪গুণ বেড়ে যায়, তাই ভক্তদের কথা মাথায় রেখে মন্দির খোলা রাখার সময় বাড়ানো হচ্ছে। সেইমতো দেব-দেবীদের বিশ্রামের জন্য ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১টায় বন্ধ করা হবে মন্দির এবং ১ জানুয়ারি রাত ২টোয় তা খুলে দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, সাধারণ রীতি অনুযায়ী পুরীর মন্দির রাতে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এবং পরদিন ভোর ৫টার সময় তা খোলা হয়। নববর্ষের দিনে এবার তা খুলে দেওয়া হবে ৩ ঘণ্টা আগে।
ওড়িশার আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন বলেন, রথযাত্রা-সহ বিশেষ উৎসবের দিনে জগন্নাথ দর্শনার্থীদের সংখ্যা ৪ থেকে ৫ গুণ বেড়ে যায় পুরীতে। নববর্ষের দিনেও তার ব্যতিক্রম হয় না। ভক্তদের কথা মাথায় রেখেই এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি তিনি এটাও জানান, এই পদক্ষেপে মন্দিরের চিরাচরিত রীতি-রেওয়াজ পালনে কোনও প্রভাব পড়বে না।
এদিকে পুরী জেলা প্রশাসনের তরফে অনুমান করা হচ্ছে, নতুন বছরের প্রথম দিনে পুরীতে জগন্নাথ দর্শনার্থীর সংখ্যা ৪ লক্ষ ছাড়িয়ে যেতে পারে। শ্রী জগন্নাথ মন্দির প্রশাসন (SJTS)-এর প্রধান অরবিন্দ পাধি এক বৈঠকের পর জানান, ৩১শে ডিসেম্বর মন্দির সারারাত খোলা থাকছে না। রাত ২টোর পর তা খোলা হচ্ছে। মন্দিরের যাবতীয় ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করেই এই উদ্যোগ। যদিও এই পদক্ষেপের বিরোধিতায় সরব হয়েছেন মন্দিরের কিছু সেবায়েত। ইংরেজি নববর্ষের জন্য মধ্যরাত পর্যন্ত মন্দির খোলা রাখার নতুন নিয়মের বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়েছেন তাঁরা।
