সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: ‘কালা’ কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে এবার দিল্লির যন্তরমন্তরে গিয়ে কৃষকদের পাশে দাঁড়াল বিরোধীরা। রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) নেতৃত্বে শুক্রবার যন্তরমন্তরে কৃষকদের আয়োজন করা কিষাণ সংসদে হাজির হয় বিরোধী সাংসদদের একটি প্রতিনিধিদল। যাতে কংগ্রেস ছাড়াও NCP, DMK, RJD, শিব সেনার মতো দলের সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
কেন্দ্রের পাশ করানো তিনটি কৃষি আইনের প্রতিবাদে দিল্লিতে প্রায় আটমাস ধরে বিক্ষোভ চলছে। অথচ, কৃষি আইন (Farm Laws) প্রত্যাহার বা কৃষক সমস্যা মেটানোর ব্যাপারে একচুলও এগোতে পারেনি কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এদিকে আগের থেকে তীব্রতা কমলেও রাজধানী দিল্লি এবং তৎসংলগ্ন এলাকার কৃষকরা লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। বাদল অধিবেশনের শুরু থেকে সংসদ চত্বরেই বিক্ষোভ দেখানোর পরিকল্পনা ছিল কৃষকদের। কিন্তু দিল্লি সরকার অনুমতি না দেওয়ায় যন্তরমন্তরে (Jantar Mantar) নিজেদের মতো করে কিষাণ সংসদ (Kishan Sangsad) তৈরি করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিতর্কিত আইন বিরোধী কৃষকরা। শুক্রবার রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে ১০টির বেশি বিরোধী দলের প্রতিনিধি সেই কিষাণ সংসদে যোগ দিলেন। যন্তরমন্তরে দাঁড়িয়ে রাহুল দাবি করেছেন, ‘আজ এই কালা কানুনের বিরুদ্ধে সব বিরোধী দল ঐক্যবদ্ধ।’
[আরও পড়ুন: দিল্লিতে ফের একজোট বিরোধীরা, রাহুলের ডাকে বৈঠকে TMC-সহ ১৪ দল]
শুক্রবার সকালেই তৃণমূল, ডিএমকে, আরজেডি, এনসিপি, শিব সেনা-সহ ১৪টি বিরোধী দলের প্রতিনিধিকে নিয়ে রাজ্যসভার বিরোধী নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের ঘরে বৈঠক করেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। এদিনও প্রত্যাশিতভাবেই সংসদের অধিবেশন শুরুর পরই বিরোধীদের বিক্ষোভে তা মুলতুবি হয়ে যায়। সংসদ অধিবেশন মুলতুবি হওয়ার পর রাহুল-সহ বিরোধী সাংসদরা একটি বাসে করে চলে যান যন্তরমন্তর। তাৎপর্যপূর্ণভাবে আম আদমি পার্টি এবং বিএসপির কোনও প্রতিনিধি দল এদিনের বৈঠকে ছিলেন না। প্রথমে একসঙ্গে যাওয়ার কথা থাকলেও তৃণমূলের তরফে আগেই তিন সাংসদকে পাঠানো হয়েছিল কৃষকদের কাছে। দোলা সেন, অপরূপা পোদ্দার এবং প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়রা গিয়ে বিক্ষোভরত কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। সম্ভবত, সেকারণেই কংগ্রেসের সাংসদদের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সাংসদকে দেখা যায়নি।