সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গালওয়ান সংঘাতের পর প্রথমবার চিন সফরে যাবেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী! এমনটাই শোনা যাচ্ছে সূত্র মারফত। চলতি মাসের শেষেই সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের সদস্য দেশগুলির প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের বৈঠক রয়েছে। চিনে আয়োজিত এই বৈঠকে যোগ দিতে যেতে পারেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। উল্লেখ্য, পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফও যোগ দিতে পারেন এই বৈঠকে।
১০ দেশকে নিয়ে গঠিত এই এসসিও'র সদস্য রাশিয়া, চিন, কাজাখস্তান, কিরঘিজস্তান, উজবেকিস্তান, ইরান, বেলারুশ, ভারত এবং পাকিস্তান। চলতি মাসের শেষেই এই ১০ দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বৈঠকে বসবেন চিনের কিংডাও শহরে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সেই বৈঠকে যোগ দিতে যেতে পারেন রাজনাথও। উল্লেখ্য, প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসাবে এই প্রথমবার চিনে পা রাখতে চলেছেন রাজনাথ। গালওয়ান সংঘাতের পরেও এই প্রথমবার চিনে যাচ্ছেন ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী। সূত্রের খবর, চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাডমিরাল ডং জুনের সঙ্গে বৈঠকেও বসতে পারেন রাজনাথ। তবে এখনও নির্ঘণ্ট চূড়ান্ত করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, গালওয়ান সংঘাত অধ্যায় ভুলে ধীরে ধীরে বরফ গলছে ভারত-চিন সম্পর্কে। শুক্রবার দিল্লিতে বৈঠকে বসেন ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিসরি ও চিনের উপ বিদেশমন্ত্রী সান ওয়েইডং। সেই বৈঠকের পর জানা গিয়েছে, ভারত-চিন বিমান পরিষেবা পুনরায় শুরু করার কথা ভাবছে দুই দেশ। চারবছর পরে স্বাভাবিকভাবে শুরু হয়েছে মানস সরোবর যাত্রাও। গালওয়ানের পর ডেমচক, দেপসাংয়ের মতো একাধিক এলাকায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল। কিন্তু গত বছরের অক্টোবর মাসেই লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে চুক্তি হয় ভারত ও চিনের মধ্যে।
তবে পহেলগাঁও হামলা এবং তার পরবর্তী অপারেশন সিঁদুর আবহে বারবার পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছে চিন। সেদেশে গিয়ে বৈঠক করেছেন পাক বিদেশমন্ত্রী ইশাক দার। এহেন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের 'বন্ধু' চিনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কে উন্নতি করতে পারবে ভারত? চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর প্রকল্প নিয়ে আপত্তির বিষয়টি বেজিংয়ের কাছে তুলে ধরা যাবে? নজর থাকবে রাজনাথের চিন সফরের দিকে।
