সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সীমান্তে মোটেও সুবিধাজনক অবস্থায় নেই ভারত। তাই চুপচাপ নিশ্চিন্তে বসে থাকলে চলবে না। রবিবার সেনার উদ্দেশে এমন বার্তাই দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তাঁর কথায়, সীমান্তের ভিতরে এবং বাইরে দুদিকেই সমস্যা রয়েছে। তাই সেনাকে সবসময় সতর্ক থাকতে হবে। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি পাকিস্তান বা চিনের তরফে সীমান্তে স্থিতাবস্থা লঙ্ঘনের চেষ্টা চলছে?
রবিবার মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে মহোর আর্মি ক্যান্টনমেন্টে গিয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। সেখানে ডঃ বি আর আম্বেদকরের মূর্তিতে ফুল দেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদীও। সেই অনুষ্ঠানে সেনাকে সরাসরি সতর্কবার্তা দেন রাজনাথ। তাঁর কথায়, "সাম্প্রতিক পরিস্থিতির দিকে যদি নজর রাখি, তাহলে বলতে হবে ভারতের ভাগ্য মোটেই ভালো নয়। উত্তর এবং পশ্চিম- দুই দিকের সীমান্ত থেকেই লাগাতার বিপদ আসছে।
কেবল বিদেশী শক্তির আক্রমণ নয়, সমস্যা রয়েছে দেশের অন্দরেও। এদিন রাজনাথ বলেন, "বাইরে বা ভিতরে, আমাদের শত্রুরা সবক্ষেত্রেই সবসময় কাজ করে চলেছে। এই অবস্থায় আমাদের উচিত তাদের কার্যকলাপের উপর নজর রাখা। ঠিক সময়ে তাদের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ করা। এমন পরিস্থিতির মধ্যে আমরা চুপচাপ নিশ্চিন্তে বসে থাকতে পারি না। প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসাবে আমার এটাই বলার, সবসময় সকলকে সজাগ থাকতে হবে।"
মাসদুয়েক আগে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সামরিক উত্তেজনা কমিয়ে সেনা সরাতে রাজি হয়েছিল ভারত-চিন। সীমান্তে স্বাভাবিক টহলদারিও শুরু করেছে দুই দেশ। তার মধ্যেও কেন আলাদা করে সজাগ থাকার বার্তা দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী? উঠছে প্রশ্ন। জল্পনা আরও বাড়ছে রাজনাথের অন্য একটি মন্তব্যে। ক্যান্টনমেন্টের অনুষ্ঠানে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, "যে সময়টাকে আমরা শান্তির সময় বলে ধরে নিচ্ছি, সেই সময়েও সেনা যেভাবে ট্রেনিং করছে সেটা অসাধারণ। যুদ্ধের থেকে কোনও অংশে কম নয় এই ট্রেনিং।" তাহলে কি কমেও কমছে না ভারত-চিন সীমান্তের উত্তাপ?