সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গতকাল ‘হাত’ ছাড়ার পরেই জল্পনা শুরু হয়েছিল। সেই মতোই মঙ্গলবার দুপুরে বিজেপিতে যোগ দিলেন মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক চহ্বান! এদিন মুম্বইতে গেরুয়া শিবিরের দলীয় কার্যালয়ে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের উপস্থিতিতে বিজেপিতে (BJP) যোগ দিলেন তিনি। চহ্বানের সঙ্গে পদ্মযোগ ঘটল আরও এক কংগ্রেস (Congress) বিধায়কের। সব মিলিয়ে সংকটে মহারাষ্ট্র কংগ্রেস। রাজ্যসভার আসন খোয়া যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা। অন্যদিকে আগামিকালই বিজেপির হয়ে রাজ্যসভার মনোনয়ন জমা দিতে চলেছেন চহ্বান, সূত্র মারফত এমনটাই জানা গিয়েছে। এই অবস্থায় রাজ্যের তিন হেভিওয়েট নেতার দিকে তাকিয়ে রাহুল গান্ধীর দল।
আগেই মিলিন্দ দেওরা ও বাবা সিদ্দিকি কংগ্রেস ছেড়ছেন। গতকাল ধাক্কা আসে অশোক চহ্বান রূপে। সোমবার মহারাষ্ট্রের স্পিকার রাহুন নারভেকরের হাতে ইস্তফাপত্র তুলে দেন ভোকার কেন্দ্রের বিধায়ক চহ্বান। তখনই খবর ছিল, বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন নেতা। পুরস্কার হিসেবে তাঁকে রাজ্যসভার টিকিট দিতে পারে গেরুয়া শিবির। আরও খবর ছিল, অশোক একা নন, তাঁর সঙ্গে ১০-১২ জন কংগ্রেস বিধায়কও শিবির বদল করবেন। যদিও আপাতত অনুগামী একমাত্র কংগ্রেস বিধায়ক অমর রাজকুমারকে সঙ্গে নিয়ে শিবির বদলেছেন চহ্বান।
[আরও পড়ুন: আবু ধাবি সফরে মোদি, প্রধানমন্ত্রীর ‘বিকশিত ভারতের’ কথা শুনবেন হাজার হাজার প্রবাসী]
শোনা যাচ্ছে, আরও পাঁচ কংগ্রেস বিধায়ক দল ছাড়তে পারেন শিগগির। সেক্ষেত্রে বাস্তবেই রাজ্যসভার আসন হারাবে দলটি। মহারাষ্ট্রে কোনও দলে ৪১ জন বিধায়ক থাকলে একজনকে রাজ্যসভায় প্রতিনিধি করা যায়। চহ্বানকে ধরে ৪৪ জন বিধায়ক ছিলেন কংগ্রেসে। চহ্বান এবং রাজকুমার দল ছাড়ায় কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা বর্তমানে ৪২। জল্পনা সত্যি করে পরবর্তীকালে পাঁচ বিধায়ক দল ছাড়লে বিধায়কের সংখ্যা কমে হবে ৩৭। সেক্ষেত্রে নিয়মের প্যাঁচেই রাজ্যসভা আসন খোয়া যাবে সোনিয়া-রাহুলের দলের।
এই অবস্থায় দলের ভাঙন রুখতে পৃথ্বিরাজ চৌহান, নানা পাটোলে, বালাসাহেব থোরাটের মতো প্রবীণ নেতাদের দিকে তাকিয়ে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। তাঁরা কৃতকার্য হোন বা না হোন, লোকসভা ভোটের আগে মহারাষ্ট্রের রাজনীতি যে নয়া বাঁক নিচ্ছে তা বলা বাহুল্য। যার ফলে সংকটে বিরোধী জোটও। অন্যদিকে রাজ্যে ক্রমশ শক্তি বাড়ছে বিজেপির। যা তাদের আরও একবার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পথকেও সুগম করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।