সরযূ তটে ভক্তি ও আবেগের সঙ্গম। মন্ত্রোচ্চারণে প্রধান যজমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে প্রাণ পেল শিশু রাম। অনুষ্ঠানে তারকা সমাগম। উৎসবের অযোধ্যায় এক হয়ে গেল রাজনীতি থেকে শিল্প ও বিনোদন জগৎ। একইভাবে লক্ষ লক্ষ ভক্তের আবেগে ভাসল গোটা দেশ।
বেলা ৩টে ৩৭: কলকাতায় শুরু তৃণমূলের সংহতি যাত্রা। কালীঘাটে পুজোর পর স্কুটারে চেপে গুরুদুয়ারে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মিছিলে হাঁটছেল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বেলা ৩টে: কুবের টিলার শিব মন্দিরে পুজো দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
বেলা ২টো ৪৮: প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শেষ। উপস্থিত অতিথিদের সকলের সঙ্গে নমস্কার বিনিময় করেন। তার পর কুবের টিলায় শিবমন্দিরের উদ্দেশে রওনা দিলেন মোদি। সেখানেও পুজো দেবেন তিনি। সেখানে তাঁর সঙ্গী উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। অন্যদিকে, কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিয়ে সংহতি যাত্রা শুরু করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বেলা ২টো ১৩: বক্তৃতা শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শত শত বছরের অপেক্ষার পরে আজ রাম এসেছেন, এই বলেই ভাষণ শুরু করলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর সাফ বার্তা, রামলালা আর তাঁবুতে থাকবেন না।
বেলা ২টো ১০: অযোধ্যায় আর গুলি চলবে না, মন্দিরের উদ্বোধনের পর দাবি যোগীর।
বেলা ২টো: মন্দির উদ্বোধনের পরে বিশেষ বক্তৃতা যোগী আদিত্যনাথের। ‘মন্দির ওহি বানায়ে হ্যায়, যাহা বাননা থা’ ধ্বনি শোনা গেল তাঁর মুখে।
বেলা ১টা ৪৪: ১১ দিনের উপবাস ভঙ্গ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর মুখে চরণামৃত তুলে দিলেন রামমন্দিরের মহারাজ গোবিন্দ দেব গিরি।
বেলা ১টা ৩০: রামমন্দির উদ্বোধনের পরে বিশেষ মুহূর্ত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে রামমন্দিরের রেপ্লিকা তুলে দিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
বেলা ১২টা ৪৮: মাহেন্দ্রক্ষণে প্রাণ পেল রামলালা। ৮৪ সেকেন্ডের মাহেন্দ্রক্ষণে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তার পরে গর্ভগৃহে আরতি শুরু করেন মোদি। আরতি শেষে রামলালার মূর্তির সামনে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম মোদির। বেলা একটার পরে রামমন্দির থেকে ভাষণ শুরু করবেন প্রধানমন্ত্রী।
বেলা ১২টা ৩০: প্রকাশ্যে এল রামলালার সুসজ্জিত মূর্তি। প্রধানমন্ত্রী নিজেই মূর্তি উন্মোচন করলেন। তার পরে রামলালার কষ্টিপাথরের মূর্তিতে পুজো দিলেন মোদি। সঙ্গে ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
বেলা ১২টা ২০: প্রাণপ্রতিষ্ঠার পাশাপাশি গণেশ পুজো শুরু প্রধানমন্ত্রীর।
বেলা ১২টা: রামমন্দিরের গর্ভগৃহের দিকে যাত্রা শুরু মোদির। রামলালাকে নিয়ে মন্দির থেকে বেরবেন প্রধানমন্ত্রী। তার পরেই শুরু হবে প্রাণপ্রতিষ্ঠার আচার। প্রধান যজমান হিসাবে প্রাণপ্রতিষ্ঠার আচার শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতও।
সকাল ১১টা ৫০: অযোধ্যায় রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার আগেই রামমন্দির চত্বরে পুষ্পবৃষ্টি। হেলিকপ্টার থেকে ছড়ানো হল ফুলের পাপড়ি।
সকাল ১১টা ৪০: রামমন্দিরের গর্ভগৃহে পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখান থেকে শুরু হবে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা। প্রধান যজমান হিসাবে রামলালা প্রাণপ্রতিষ্ঠা করবেন মোদি। অন্যদিকে, রামমন্দির উদ্বোধনের দিনই কলকাতায় মিছিল শুরু বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর।
সকাল ১১টা ৩০: ৫০০ বছর পরে নিজের ‘ঘরে’ ফিরছেন রামলালা। সেই উপলক্ষে নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কোয়্যারেও শুরু হয়েছে রামলালার পুজো। ভজনে মেতে উঠেছে মার্কিনভূম। প্রাণপ্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে রামমন্দিরের উদ্বোধন, সমস্ত আচারই সরাসরি সম্প্রচার হবে সেখানে।
অন্যদিকে, অযোধ্যায় সোনু নিগমের পরে রামের ভজন পরিবেশন করছেন শংকর মহাদেবন।
সকাল ১১টা ২০: রামমন্দিরে ভজন শুরু করলেন গায়ক সোনু নিগম। রাম সিয়া রামের সুরে মেতে উঠলেন ভক্তরা। অন্যদিকে, অযোধ্যায় না থাকলেও রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা উপলক্ষে পুজো দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সেখানে হাজির থেকে আরতিতে শামিল হলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অযোধ্যায় সোনু নিগমের পরে রামের ভজন গেয়েছেন অনুরাধা পড়ওয়াল।
সকাল ১১টা ১০: রামমন্দিরের উদ্বোধনের সাক্ষী হতে হাজির তারকা ক্রীড়াবিদরা। সস্ত্রীক হাজির হয়েছেন শচীন তেণ্ডুলকর। প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক অনিল কুম্বলে প্রথমবারের জন্য পাড়ি দিয়েছেন অযোধ্যায়। এছাড়াও রয়েছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার মিতালি রাজ, ব্যাডমিন্টন তারকা সাইনা নেহওয়াল। এছাড়াও অযোধ্যায় পৌঁছেছেন শিল্পপতি মুকেশ আম্বানি ও নীতা আম্বানি।
সকাল ১১টা: হেলিকপ্টারে চেপে অযোধ্যার দিকে রওনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী। বেলা ১২টার পরেই শুরু হবে প্রাণপ্রতিষ্ঠার আচার। মোট ১৫ জন যজমানের হাত ধরে প্রাণ পাবেন রামলালা। আরতির সময়ে গোটা অযোধ্যা জুড়ে পুষ্পবৃষ্টি করবে সেনার কপ্টার। ৮৪ সেকেন্ডের মাহেন্দ্রক্ষণেই প্রাণপ্রতিষ্ঠা হবে রামলালার। অন্যদিকে, রামমন্দিরের উদ্বোধনের আগে বিশেষ আলোর সাজে সেজে উঠেছে নেপালের জনকপুরের জানকী মন্দিরে।
সকাল ১০টা ৫০: অযোধ্যায় তারকা সমাগম। দক্ষিণী মহাতারকা রজনীকান্ত, চিরঞ্জীবী, রামচরণের পাশাপাশি বলিউডের কঙ্গনা রানাওয়াত, জ্যাকি শ্রফ, অমিতাভ ও অভিষেক বচ্চনকেও দেখা গিয়েছে মন্দিরে।
সকাল ১০টা ৪০: অযোধ্যায় পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। হেলিপ্যাড থেকেই রামমন্দিরের দিকে রওনা দেবেন তিনি। সেখানে যজমান হিসাবে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা করবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে অযোধ্যা পৌঁছেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়াও। তবে অসুস্থতার কারণে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেননি মনমোহন সিং। অযোধ্যায় পৌঁছেছেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। উপস্থিত যোগগুরু রামদেবও।
সকাল ১০টা: রামমন্দিরে পৌঁছলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মন্দিরে পৌঁছে গিয়েছেন অমিতাভ বচ্চন, অনিল আম্বানির মতো বিখ্যাতরাও। গোটা অযোধ্যা জুড়ে কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছে আমিষ খাবার। রেস্তরাঁ বা অনলাইন ফুড ডেলিভারি অ্যাপ-সব জায়গাতেই মিলছে নিরামিষম খাবার।
সকাল ৯টা ৩০: রামের ভজনে মেতে উঠেছে নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কোয়্যার। সেখানে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার সরাসরি সম্প্রচার হবে। অন্যদিকে, উদ্বোধনের আগে ফুল দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে গোটা মন্দির। শুরু হয়েছে পুজোর প্রক্রিয়াও। উৎসবে মেতে উঠেছে অযোধ্যা-সহ গোটা দেশ। রবিবার বিশেষ আলোর সাজে সেজে উঠেছিল মুকেশ আম্বানির বাড়িও।
সকাল ৯টা: মোট ৫০টি দেশের প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সকলেই রামমন্দির উদ্বোধনে হাজির থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা অযোধ্যা। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের পাশাপাশি র্যাফ, বিশেষ কমান্ডো বাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে।
সকাল ৮টা ৩০: অযোধ্যায় পৌঁছে গিয়েছেন বলিউডের একাধিক তারকা। তার মধ্যে রয়েছেন রণবীর কাপুর। নীতীশ তিওয়ারির রামায়ণ ছবিতে রামের ভূমিকায় দেখা যেতে পারে তাঁকে। সেই সঙ্গে আলিয়া ভাট, আয়ুষ্মান খুরানা, ভিকি কৌশল, ক্যাটরিনা কাইফ-সহ একঝাঁক তারকাকে।
সকাল ৮টা: রামমন্দিরের উদ্বোধন উপলক্ষে ভারতকে শুভেচ্ছা ইজরায়েলের। ভারতে নিযুক্ত সেদেশের রাষ্ট্রদূত নাওর গিলন। তিনি বলেন, “রামমন্দিরের প্রাণপ্রতিষ্ঠা উপলক্ষে সকল ভারতবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। বিশ্বের সমস্ত ভক্তদের জন্য এটা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। রামমন্দির দর্শনের জন্য মুখিয়ে রয়েছি।
সকাল ৭টা: রামমন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে অযোধ্যায় আগত সাধু, অতিথিদের স্বাগত জানালেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও স্বাগত জানিয়ে বার্তা দিয়েছেন তিনি। ‘দেশের সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণের শিল্পী’ বলে অভিনন্দন জানিয়েছেন মোদিকে।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে উত্তরপ্রদেশের সংস্কৃতি দপ্তর যে জাঁকজমক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে তা চোখে পড়ার মতো। যে পথে আসবেন প্রধানমন্ত্রী, তাঁকে অনুষ্ঠানে স্বাগত জানাতে ১০০টি মঞ্চে ২৫০০ জন লোকশিল্পী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করবেন। অযোধ্যার ত্রেতা যুগের মহিমা প্রদর্শন করতে নাচ-গানে বিভিন্ন রূপ তুলে ধরবেন ওই শিল্পীরা। গত ২১ জানুয়ারি ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে মহড়া। বিশাল মন্দিরে ভগবান রামকেও এই শিল্পীরা তাঁদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্বাগত জানাবেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
আজ সকাল ১০.৫৫ মিনিটে রাম জন্মভূমিতে পৌঁছবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার পর বেলা ১২.০৫ থেকে ১২.৫৫ পর্যন্ত চলবে প্রাণপ্রতিষ্ঠার মূল অনুষ্ঠান। দুপুর ১২.৫৫ মিনিটে প্রাণপ্রতিষ্ঠা পর্ব শেষ করে উপাসনাস্থল ছাড়বেন মোদি। দুপুর ১টা থেকে ২টোর মধ্যে মন্দির ছেড়ে বেরিয়ে জনসভায় বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী। তার পর দুপুর ২.১০ নাগাদ কুবের টিলায় শিবমন্দিরে পুজো দিয়ে অযোধ্যা ছাড়বেন তিনি।