সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: আর জি কর মেডিক্যালের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের নাম রয়েছে চার্জশিটে। কিন্তু আইনি জটিলতায় তা এখনও গ্রহণই করতে পারেনি আদালত, শুনানি শুরু তো দূরস্ত। মঙ্গলবার বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলল সিবিআই। যদিও রাজ্যের আইনজীবীর দাবি, এ বিষয়ে তাঁদের কিছুই জানা নেই। এর পরই প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না রাজ্যকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দেন।
আর্থিক দুর্নীতির দায়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ, চিকিৎসক আশিস পাণ্ডে। দুজনই সরকারি কর্মী। ফলে তাঁদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিতে কিংবা শুনানি শুরু করতে হলে সরকারি অনুমতির প্রয়োজন। রাজ্য সরকারের কাছে সিবিআই সেই অনুমতি চাইলেও মেলেনি। এদিন শীর্ষ আদালতে সিবিআইয়ের হয়ে সওয়াল করছিলেন কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। বলেন, আর্থিক দুর্নীতি মামলায় দুই অভিযুক্ত সরকারি পদে কর্মরত ছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার জন্য রাজ্যের অনুমতি দরকার। কিন্তু রাজ্যের তরফে অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে দাবি সিবিআইয়ের। জানায়, ২৭ নভেম্বর রাজ্যের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। ২৯ নভেম্বর চার্জশিট দেওয়া হয়। কিন্তু আদালতে তা গ্রহণ করা যায়নি।
সিবিআইয়ের অভিযোগ শুনে রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল জানান, “আমাদের কাছে এমন কোনও তথ্য নেই।” যা শুনে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না তাঁর উদ্দেশে বলেন, সিবিআইয়ের স্টেটাস রিপোর্টে তো বিষয়টির উল্লেখ রয়েছে। এর পরই সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, বিষয়টি নিয়ে হয়তো রাজ্যের আইনজীবীর কাছে তথ্য নেই। দুপক্ষের কথা শুনে রাজ্যকে প্রধান বিচারপতির নির্দেশ, “প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করুন।” বিষয়টিতে নজর দেওয়ারও কথাও বলেন তিনি।