সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্কঃ পাঞ্জাবের ডিজিপি থাকাকালীন কড়া হাতে খলিস্তানি আন্দোলন দমন করার জন্য প্রশংসা যেমন কুড়িয়েছেন তিনি, তেমনই মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে বিভিন্ন সময়ে শিখ সংগঠনের রোষের মুখেও পড়তে হয়েছে তাঁকে। এবার সদ্য প্রয়াত প্রাক্তন পুলিশকর্তা কেপিএস গিলের শেষকৃত্য পরিচালনা না করার জন্য শিখ পুরোহিতদের সতর্ক করল সরবত খালসা নিযুক্ত জাঠেদার সহ-আরও বেশ কয়েকটি শিখ সংগঠন। ফতোয়া না মানলে কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলে হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। যদিও এই ফতোয়া নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি শিখদের সর্বোচ্চ সংগঠন অকাল তখত।
[২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কাশ্মীরে ফের বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা]
শুক্রবার নয়াদিল্লির স্যাক গঙ্গারাম হাসপাতালে ৮২ বছর বয়সে প্রয়াত হন পাঞ্জাব পুলিশের প্রাক্তন ডিডিপি কেপিএস গিল। বেশ কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই কিডনি ও হৃদযন্ত্র সমস্যায় ভুগছিলেন প্রাক্তন এই পুলিশকর্তা। গত ১৮ তারিখ হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। শুক্রবার দুপুরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কেপিএস গিল।
[৩০ মে দেশ জুড়ে ধর্মঘটের ডাক ওষুধ বিক্রেতাদের]
দীর্ঘ কর্মজীবনে দু-দুবার পাঞ্জাবে ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ বা ডিজিপি-র দায়িত্ব সামলেছেন কেপিএস গিল। খলিস্তানি জঙ্গিদের দমনের ক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য সবচেয়ে বেশি খ্যাতি অর্জন করেছিলেন তিনি। ১৯৮৯ সালে কেপিএস গিলকে পদ্মশ্রী সম্মান দেয় সরকার। অবসর গ্রহণের পরেও বিভিন্ন সময়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলাতে ডাক পড়ে এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ পুলিশকর্তার। ২০০২ সালে গোধরা পরবর্তী হিংসা সামলাতে গিলের সাহায্য নিয়েছিলেন গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
[কলাগাছ থেকে জিনস তৈরি করে তাক লাগালেন চেন্নাইয়ের তাঁতিরা]
তবে প্রশাসনিক স্তরে স্বীকৃতি পেলেও, পাঞ্জাবের শিখ সংগঠনগুলির কাছে কোনওদিনই জনপ্রিয় ছিলেন না কেপিএস গিল। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে শিখ সংগঠনগুলির রোষের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। গত বছর কেপিএস গিলকে সম্প্রদায় থেকে ত্যাজ্য বলে ঘোষণা করে সরবত খালসা নিযুক্ত জাঠেদাররা। সরবত খালসা কর্তৃক তখত দমদমা সাহিব তালওয়ান্দি সাবো জাঠেদার হিসেবে নিযুক্ত বলজিত সিং দাদুওয়াল জানিয়েছেন, নিরীহ শিখদের হত্যার জন্য দায়ী গিল। ভুয়ো সংঘর্ষে শিখ তরুণদের খুন করেছেন তিনি। তাঁর নির্দেশে বিভিন্ন থানায় শিখ মহিলাদের অপমান করা হয়েছে। তাই তাঁর শেষকৃত্যে কোনও শিখ পুরোহিত উপস্থিত থাকবেন না। তিনি আরও জানিয়েছেন, যাঁরা গিলের অন্ত্যেষ্টিতে যোগ দেবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
