সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত ফেব্রুয়ারিতে শাহিনবাগের (Shaheen Bagh) আন্দোলনে গুলি ছুঁড়েছিলেন তিনি। রাতারাতি সারা দেশ জেনে গিয়েছিল তাঁর নাম। সেই কপিল গুর্জর (Kapil Gurjar) বুধবারই যোগ দিয়েছিলেন গেরুয়া শিবিরে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিরোধীদের কটাক্ষের মুখে পড়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করল বিজেপি (BJP)। বাতিল হল সদস্যপদ।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) বিরোধী বিক্ষোভ চলাকালীন দক্ষিণ দিল্লির শাহিনবাগ এলাকায় হাজির হয়ে বাতাসে দু’রাউন্ড গুলি চালাতে দেখা গিয়েছিল কপিলকে। সকলে শিউরে উঠেছিল ওই ভিডিও দেখে। কেবল গুলি চালানোই নয়, সেই সঙ্গে ‘জয় শ্রীরাম’ বলে স্লোগানও দিয়েছিলেন তিনি। চিৎকার করে বলছিলেন, ‘‘হামারে দেশ মে অউর কিসি কি নেহি চলেগি। সির্ফ হিন্দুও কি চলেগি।’’ এমন বেপরোয়া হিংস্র আচরণ দেখে নিন্দার বন্যা বয়ে গিয়েছিল সর্বত্র। ঘটনাস্থল থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। পরে জামিন পেয়ে যান কপিল।
[আরও পড়ুন: শিখদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগ! বিতর্কিত শাল পরার জন্য ক্ষমা চাইলেন সিধু]
সেই কপিলকেই বুধবার দেখা গিয়েছিল বিজেপিতে যোগ দিতে। গাজিয়াবাদের দলীয় কর্মীরা সেই সময় তাঁর পাশে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু এরপরই শুরু হয় জলঘোলা। এমন একটা ইস্যুতে বিজেপিকে বিঁধতে দেরি করেনি কংগ্রেস। রাহুল গান্ধীর দলের সাংসদ রিপুন বোরা টুইট করে কটাক্ষ করেন গেরুয়া শিবিরকে। তিনি লেখেন, ‘‘অপরাধী আর দাঙ্গাবাজরা কোথায়ই বা যাবে? উনি বুদ্ধিমানের কাজই করেছেন। এবার অপেক্ষা, কবে ওঁকে পদাধিকারী বানায় ‘ভারতীয় গুন্ডা পার্টি’। দেশের জন্য বিজেপি অত্যন্ত বিপজ্জনক।’’
বিরোধীদের এই ধরনের খোঁচায় চাপ ক্রমেই বাড়ে। সূত্রানুসারে, এরপরই দলের সিনিয়র নেতারা কপিলকে দলে নেওয়ার ব্যাখ্যা চান গাজিয়াবাদ নেতৃত্বের কাছে। গাজিয়াবাদ জেলার বিজেপি সভাপতি ঢোঁক গিলে জানিয়ে দেন, তিনি কপিলের অতীত সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। তাই ভুল করেই তাঁকে দলের সদস্যপদ দিয়েছেন। এরপরই কপিলের সদস্যপদ বাতিল করা হয়। এর আগে দলে যোগ দেওয়ার পরে কপিল জানিয়েছিলেন, যেহেতু বিজেপি হিন্দুত্বের দল, তাই তিনি গেরুয়া শিবিরে যোগ দিলেন। যদিও দিন শেষ হওয়ার আগেই অতীত হয়ে গেল যোগদানের এই পর্ব।