সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাইন ভাঙার প্রতিবাদে মেরে তাঁর মুখ ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের এক পাইলটের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় এবার মুখ খুললেন আক্রান্ত ওই যুবক। তাঁর কথায়, “বিমানবন্দর সুরক্ষিত স্থান। সেখানেও যে এরকম ঘটনা ঘটবে, তা কোনওদিন ভাবিনি। আমার বিশ্বাস ভেঙে গিয়েছে।”
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “এই ঘটনা আমার বিশ্বাসকে নাড়িয়ে দিয়েছে। আমি মনে করি, বিমানবন্দর অত্যন্ত নিরাপদ একটি জায়গা। কিন্তু যখন সেখানেই কোনও ব্যক্তিকে শারীরিক আক্রমণের মুখোমুখি হতে হয়, তখন অবশ্যই এটি বিশ্বাসকে নাড়িয়ে দেয়।” তিনি আরও বলেন, “এই ঘটনা আমার কন্যার উপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে। সে ভীষণ বিচলিত। আমি তাঁকে বলেছি, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়ছে। কিন্তু তিনি যে জামিন পেয়ে গিয়েছেন, তা বলিনি। মেয়ে আমাকে বিভিন্ন প্রশ্ন করছে। এখনও আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে পারেনি।" তবে পুলিশ এবং বিচার ব্যবস্থার উপর তাঁর যে পূর্ণ আস্থা রয়েছে, সেকথাও ব্যক্ত করেছেন ওই যুবক।
সম্প্রতি অঙ্কিত দিওয়ান নামে ওই ব্যক্তি এক্স হ্যান্ডলে নিজের রক্তাক্ত ছবি পোস্ট করে ওই পাইলটের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তিনি জানান, তাঁর সঙ্গে তাঁর স্ত্রী এবং দুই মেয়ে ছিল। এক মেয়ে কোলের শিশু। বয়স চার মাস। সেই কারণেই দিল্লি বিমানবন্দরের আধিকারিক-কর্মীরা সিকিউরিটি চেকের জন্য যে জোন ব্যবহার করেন, তাঁদের সেই জোন ব্যবহার করতে বলা হয়েছিল। সেখানে লাইনে দাঁড়িয়ে তিনি দেখেন, কয়েক জন লাইন ভেঙে এগিয়ে যাচ্ছেন। অঙ্কিতের দাবি, তিনি লাইন ভাঙার প্রতিবাদ করাতেই কয়েক জনের সঙ্গে তাঁর বচসা বাধে। সেই সময় ক্যাপ্টেন বীরেন্দ্র সেজওয়াল নামে ওই পাইলট তাঁকে ‘অশিক্ষিত’ বলে গালিগালাজ করেন। শুধু তা-ই নয়, মারধরও করা হয় তাঁকে। মেরে মুখ ফাটিয়ে দেওয়া হয়।
অঙ্কিতেরও আরও দাবি, ওই ঘটনার পর জোরজবরদস্তি তাঁকে দিয়ে মুচলেকা লেখানো হয়। তাঁকে লিখতে বাধ্য করা হয় যে, গোটা ঘটনা নিয়ে তিনি ভবিষ্যতে পদক্ষেপ করবেন না। মুচলেকা না দিলে তাঁকে বিমানে উঠতে দেওয়া হবে না বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছিল। গোটা ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই নিন্দার ঝড় ওঠে। চাপের মুখে অভিযুক্তকে শোকজ করতে বাধ্য হয় বিমান সংস্থা।
