সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনের দ্বিতীয় দফায় আরও কড়া কেন্দ্রীয় প্রশাসন। ১৪ এপ্রিল লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর পরই কেন্দ্রের তরফে সাফ নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, দেশে যতদিন লকডাউন চলবে, ততদিন মদ বিক্রি করা যাবে না। অর্থাৎ মদ বিক্রির উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। তবে রবিবার মহারাষ্ট্র সরকারের গলায় শোনা গেল অন্য সুর। সে রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তরের দাবি, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করলে মদের দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে।
লকডাউনের প্রথম পর্বে মদ বিক্রি নিয়ে বিস্তর জল্পনা ছড়িয়েছিল। মদের হোম ডেলিভারির খবরে প্রায় ঘুম ছুটেছিল পান পিপাসুদের। এমনকী মদ না পেয়ে হোমিওপ্যাথি ওষুধ খেয়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। কেউ আবার মদ না পাওয়ার আশঙ্কায় আত্মঘাতী হয়েছে। দ্বিতীয় পর্বেও পালটায়নি ছবিটা। কারণ গোটা দেশে মদ বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্র। কিন্তু মহারাষ্ট্র প্রশাসনের কথায় আশার আলো দেখছে সুরা পিপাসুরা।
[আরও পড়ুন: এবার রাষ্ট্রপতি ভবনে করোনার হানা, আইসোলেশনে ১২৫টি পরিবারের সদস্যরা]
সোমবার রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপে জানান, করোনা রোধের জন্য যদি সমস্ত নিয়ম-কানুন মানা হয়, সোশ্যাল ডিসটেন্সিং বজায় রাখা হয়, তাহলে এই রাজ্যে মদ বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি রাখা উচিত হয়। তোপের কথায়, “নিয়ম মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখলে মদের দোকানগুলি বন্ধ রাখার মানেই হয় না।”
অন্যান্য রাজ্যের মতোই প্রায় এক মাস ধরে মহারাষ্ট্রের মদের দোকানগুলিও বন্ধ। করোনার আবহে যাতে পান পিপাসুরা দোকানের বাইরে ভিড় না জমান, সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত। তাছাড়া মদ্যপান করলে আত্মনিয়ন্ত্রণ থাকে না। সেক্ষেত্রে ঘরোয়া হিংসার ঘটনা বৃদ্ধির সম্ভাবনার পাশাপাশি আইন ভাঙা ও নির্দেশিকা অমান্য করার প্রবণতাও বাড়তে পারে। তাই মদের দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছিল রাজ্য। তবে এদিন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কথায় মহারাষ্ট্রে মদের দোকান খোলারই ইঙ্গিত মিলল। যদিও কবে খোলা হতে পারে কিংবা আদৌ খোলা হবে কি না, সে বিষয়টি স্পষ্ট করেননি তিনি। তবে আবগারি দপ্তরের আধিকারিক এমন কোনও সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: লকডাউনে ক্ষুধার্ত দেশবাসী, অতিরিক্ত চাল দিয়ে স্যানিটাইজার বানাতে চায় কেন্দ্র]
The post সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখলে মদের দোকান খোলা যেতেই পারে, মত স্বাস্থ্যমন্ত্রীর appeared first on Sangbad Pratidin.
