সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেছিলেন ‘মানববোমা’। অনন্তকুমার হেগড়ে বলেছিলেন, ওদের গুলি করে মারা উচিৎ। এবার আরেক বিজেপি সাংসদ বলছেন, ওদের সঙ্গে জঙ্গির মতো আচরণ করা উচিৎ। কথা হচ্ছে তবলিঘি জামাত নামের ইসলামিক সংগঠনের সদস্যদের। বিজেপির একটা বড় অংশ দেশে করোনা সংক্রমণের জন্য একমাত্র এঁদেরই দায়ী করেন। সেই তালিকায় নাম লেখালেন বিহারের মুজফফরপুরের সাংসদ অজয় নিষাদ (Ajay Nishad )। তিনি বলছেন, তবলিঘি জামাত সদস্যদের সঙ্গে জঙ্গির মতো আচরণ করা উচিৎ।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দেশবাসীর রক্তচাপ বাড়িয়েছে দিল্লির নিজামুদ্দিনের ধর্মসভা। মুজফফরপুরের সাংসদ বলছেন, “দেশে করোনা ছড়ানোর জন্য দায়ী একমাত্র সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে জামাতিদের অশিক্ষা। মাদ্রাসাগুলিতে শুধু পাংচার সারানোর শিক্ষা দেওয়া হয়। ওরাই গোটা দেশে করোনা ছড়িয়েছে। ওদের সঙ্গে জঙ্গির মতো আচরণ করা উচিৎ।” বিজেপি সাংসদের কথায়,”মাদ্রাসাগুলিতে নিরীহ শিশুদের মৌলবাদ আর ভুল শিক্ষা দেওয়া হয়। ওরা শুধু পাংচার সারানোর যোগ্য। ওরাই দেশে এই সংকটের সৃষ্টি করেছে।” নিষাদের নিজের লোকসভা কেন্দ্র মুজফফরপুরেও নতুন করে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে করোনা। প্রশাসন তা নিয়ন্ত্রণে অনেকাংশেই ব্যর্থ। এরই মধ্যে তিনি জামাতিদের জঙ্গি বলে দেগে দিলেন।
[আরও পড়ুন: ‘ঘরে ফিরতে চাওয়াই মানবপ্রবৃত্তি, কিন্তু সংক্রমণ রুখতে হবে’, বৈঠকে ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর]
গত ১৬ মার্চ দিল্লির নিজামুদ্দিনের (Nizamuddin) ধর্মসভার আয়োজক তবলিঘি জামাতের সঙ্গে যুক্ত প্রায় ৯ হাজার মানুষ। কেন্দ্র বলছে ওই ধর্মীয় সংগঠনটির অনুষ্ঠানের সঙ্গে অন্তত ৭ হাজার ৬০০ জন ভারতীয় এবং ১৩০০ বিদেশি যুক্ত। এবং এদের অনেকেই পরে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন।এবং তাঁদের সংস্পর্শে এসে আবার বহু মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন। একটা সময় দেশে সংক্রমণের গতি বৃদ্ধির জন্য পরোক্ষে নিজামুদ্দিনকে দায়ী করছিল কেন্দ্রও। পরে অবশ্য বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এই ইস্যুকে সাম্প্রদায়িক রং দেওয়া থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করেন দলীয় নেতাদের। কিন্তু বিহারের এই সাংসদ দলের সর্বভারতীয় সভাপতির কথাতেও কর্ণপাত করেননি।
The post ‘জামাত সদস্যদের সঙ্গে জঙ্গির মতো আচরণ করা উচিৎ’, মন্তব্য বিজেপি সাংসদের appeared first on Sangbad Pratidin.
