shono
Advertisement
Telangana Tunnel Collapse

উত্তরাখণ্ডের চেয়েও ভয়ংকর, তেলেঙ্গানার সুড়ঙ্গ বিপর্যয়ের সাক্ষী বাঙালি ইঞ্জিনিয়র

তেলেঙ্গানা সুড়ঙ্গে এখনও পর্যন্ত আটকে ৮ শ্রমিক।
Published By: Suchinta Pal ChowdhuryPosted: 08:04 PM Feb 26, 2025Updated: 09:06 PM Feb 26, 2025

রমেন দাস: সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে হুড়মুড়িয়ে ভেঙেছিল উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশির সুড়ঙ্গ। মুহূর্তেই বন্দি হয়েছিলেন ৪১ জন শ্রমিক। বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সাহায্য, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। দেশের সেনাবাহিনীর নিরলস প্রচেষ্টায় অবশেষে এসেছিল সাফল্য। ‘র‍্যাট হোল’ পদ্ধতির প্রয়োগে প্রাণে বাঁচেন ওঁরা! সেদিন চমকে দিয়েছিল প্রযুক্তি। ‘রোবটিক এন্ডোস্কপিক ক্যামেরা’র সাহায্যে আরও সহজ হয় উদ্ধারকাজ। কিন্তু এবার?

Advertisement

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫। সংখ্যায় কম শ্রমিক হলেও ফের উদ্ধারকাজে ভয় ধরাচ্ছে তেলেঙ্গানা। নগরকুরনুল জেলার শ্রীসাইলাম ড্যামে অবস্থিত সুড়ঙ্গে ঘটেছে বিপর্যয়। কাজ চলাকালীন হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে সুড়ঙ্গের ছাদের একাংশ। আর তাতেই এখনও পর্যন্ত আটকে ৮ শ্রমিক। সেখানেও তড়িঘড়ি পৌঁছেছেন ‘রোবটিক এন্ডোস্কপিক ক্যামেরা’ পৌঁছে দেওয়ার কারিগররা। সেই তিনজন ইঞ্জিনিয়রের দলেই রয়েছেন সিঙ্গুরের বাসিন্দা দৌদীপ খাঁড়া। উত্তরাখণ্ডের উদ্ধারকারী দলেও ছিলেন তিনি।

কী বলছেন ওই ইঞ্জিনিয়র? তাঁর কথায়, ‘‘আমরা এই ঘটনার পরের দিন অর্থাৎ রবিবার সকালেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাই। যেহেতু উত্তরাখণ্ডের অভিজ্ঞতা রয়েছে। ঠিক কী করণীয় বুঝতে পারি! তবে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে অন্যত্র। ৪৪ ফুট দৈর্ঘ্যের ওই সুড়ঙ্গের মাত্র ১২ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছতে পারছি। তারপর ২ কিলোমিটার পথ যাওয়া যাচ্ছে পায়ে হেঁটে। এরপর আর কোনওভাবেই যাওয়া যাচ্ছে না। যেহেতু ওই ক্যামেরা পৌঁছে দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট পথের বন্দোবস্ত প্রয়োজন। সেক্ষেত্রেও কিছু হচ্ছে না। বুধবার বিকেল পর্যন্ত একাধিকবার চেষ্টা করেছি আমরা।’’

সমস্যা কোথায়? ওই ইঞ্জিনিয়রের কথায়, ‘‘আটকে পড়া শ্রমিকের সংখ্যা এক্ষেত্রে কম। কিন্তু এঁদের বাঁচিয়ে ফেরানো অনেক বেশি কঠিন। উত্তরাখণ্ডের চেয়েও বেশি চ্যালেঞ্জিং। কারণ, এই সুড়ঙ্গের একটা বড় অংশে প্রচুর জল রয়েছে। সেই জলের উৎস পাওয়া যায়নি এখনও। কোনওভাবেই সেই জল, কোমর অবধি কাদা পেরিয়ে উদ্ধারকাজ করা যাচ্ছে না। ক্যামেরা পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। ৫-৬ দিন পরে হলেও ক্যামেরা দিয়ে দেখে, অক্সিজেন বা প্রয়োজনীয় জিনিস পাঠানো গিয়েছিল উত্তরাখণ্ডের সময়ে। এবার তা-ও অধরা।’’

কী কাজ করে এই ‘রোবটিক এন্ডোস্কপিক ক্যামেরা’? নির্দিষ্ট পথ অর্থাৎ কোনও পাইপ বা নির্দিষ্ট গন্তব্য দিয়ে বিপর্যস্ত সুড়ঙ্গের একেবারে গহীনে পাঠানো হয় বিশেষ এই ক্যামেরা। তারপর দেখা হয় ভেতরের পরিস্থিতি। ঠিক কী পরিস্থিতিতে রয়েছেন আটকে পড়া শ্রমিক বা বাকিরা? তাঁদের অবস্থান, গতিবিধির উপর নজর রাখে এই ক্যামেরা। যা পাঠানো এবং তদারকির জন্য অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রযুক্তিবিদরা কাজ করেন। সেই দলেই রয়েছেন বাঙালি এই যুবক। যাঁর বসবাস হুগলির সিঙ্গুরে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে হুড়মুড়িয়ে ভেঙেছিল উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশির সুড়ঙ্গ।
  • মুহূর্তেই বন্দি হয়েছিলেন ৪১ জন শ্রমিক। বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সাহায্য, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
  • সংখ্যায় কম শ্রমিক হলেও ফের উদ্ধারকাজে ভয় ধরাচ্ছে তেলেঙ্গানা। নগরকুরনুল জেলার শ্রীসাইলাম ড্যামে অবস্থিত সুড়ঙ্গে ঘটেছে বিপর্যয়।
Advertisement