সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভূস্বর্গে ফের জঙ্গিদের নিশানায় কাশ্মীরি পণ্ডিতরা। আইএসআইয়ের অঙ্গুলিহেলনে কাশ্মীরকে রক্তাক্ত করছে জেহাদিরা। এহেন পরিস্থিতে সন্ত্রাস দমনে আরও দ্রুত অভিযান শুরু করেছে সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার এমনই এক অভিযানে নিহত হয়েছে এক জঙ্গি।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, মঙ্গলবার কাশ্মীরের অবন্তিপোরায় জঙ্গিদের ডেরার সন্ধান পাওয়া যায়। তারপরই ওই এলাকা ঘিরে ফেলে অভিযান শুরু করে সেনা, আধাসেনা ও কাশ্মীর পুলিশের যৌথবাহিনী। নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতির কথা জানতে পেরে গুলি চালাতে শুরু করে জেহাদিরা। উত্তর দেন জওয়ানরাও। বেশ কিছুক্ষণ গুলির লড়াই চলার পর খতম হয় এক জঙ্গি। বাকিদের খোঁজে চলছে তল্লাশি। জানা গিয়েছে, গত রবিবার যে কাশ্মীরি পণ্ডিত খুন হয়েছিলেন, তাঁকেই খুন করেছিল মৃত জঙ্গি।
উল্লেখ্য, গত রবিবার সকালে পুলওয়ামায় সঞ্জয় শর্মা নামের এক কাশ্মীরি পণ্ডিত তথা ব্যাংকের নিরাপত্তারক্ষীকে গুলি করে জঙ্গিরা। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তিনি মারা যান। হামলার পরই পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাশি শুরু করে যৌথবাহিনী। এলাকায় হিন্দু পণ্ডিতদের উপরে হামলার মোকাবিলায় সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করেছিল প্রশাসন। এরপরও কী করে এমন হামলা হল খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: বিএসপি বিধায়ক হত্যাকাণ্ডের প্রধান সাক্ষীকে খুন! যোগীরাজ্যে এনকাউন্টারে ঝাঁজরা অভিযুক্ত]
প্রসঙ্গত, চার মাসের মধ্যে হিন্দু পণ্ডিতের উপরে এটাই প্রথম হামলা। গত বছর একের পর এক হিন্দু পণ্ডিতরা ‘টার্গেট কিলিংয়ের’ শিকার হচ্ছিলেন। তিনজন কাশ্মীরি পণ্ডিত-সহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ১৪ জন প্রাণ হারান। কাশ্মীরের নানা জায়গায় এই হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাতে দেখা যায় কাশ্মীরি পণ্ডিতদের।
কাশ্মীরের (Keshmir) বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা খর্ব হওয়ার পর গত কয়েক বছর ধরেই কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ‘টার্গেট কিলিং’ বাড়ছে। যে কোনও দিন খুন করতে পারে জেহাদিরা। লাগাতার দেওয়া হচ্ছে হুমকি। অভিযোগ, নিরাপত্তার নিশ্চিত করতে কোনও পদক্ষেপই করছে না প্রশাসন। ফলে আরও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন উপত্যকার সংখ্যালঘুরা।