সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুধু কলমা পড়া নয়, হিন্দু ও মুসলিম বাছাই করতে পর্যটকদের প্যান্ট খুলে যৌনাঙ্গ পরীক্ষা করেছিল জঙ্গিরা। সেই পরীক্ষায় যাঁরা উর্ত্তীর্ণ হননি তাঁদের তৎক্ষণাৎ গুলি করা হয়। পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার তদন্তে নেমে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করল জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ ও প্রশাসনের যৌথ তদন্তকারী দল।
গত মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ের বৈসারন ভ্যালিতে নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল সেনার পোশাকে আসা ৪ জঙ্গি। পর্যটকদের তরফেই জানা যায়, জঙ্গিরা সেখান উপস্থিত পর্যটকদের ধর্ম জিজ্ঞাসা করে বেছে বেছে ২৫ জন হিন্দু পর্যটক ও এক স্থানীয় বাসিন্দাকে হত্যা করে। ইতিমধ্যেই সেই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে পুলিশ প্রশাসন নিশ্চিত করেছে ধর্ম জিজ্ঞাসা করেই এই হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে। এবার তদন্তকারীদের সূত্র তুলে ধরে এক সর্বভারতীয় প্রতিবেদন জানিয়েছে, ঘটনার দিন পর্যটকদের আধার কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্সের মতো পরিচয়পত্র দেখতে চায় জঙ্গিরা। তাঁদের কলমা পড়তেও বলা হয়। শুধু তাই নয়, পর্যটকদের নিম্নাঙ্গের পোশাক খুলে 'খতনা' পরীক্ষা করা হয়। যা শুধুমাত্র মুসলিম ধর্মাবলীদের করা হয়ে থাকে শৈশবে। এর মাধ্যমেই দুই ধর্মাবলম্বীদের আলাদা করে শুধুমাত্র হিন্দুদের খুন করে জঙ্গিরা। প্রত্যেকের মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
তদন্তকারীদের দাবি অনুযায়ী, ঘটনার দিন পহেলগাঁওয়ের বৈসারন ভ্যালিতে ২৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তার মধ্যে ২০ জনের নিম্নাঙ্গের পোশাক ছিল না, কারও প্যান্ট নিচে নামানো ছিল ও চেন ছিল খোলা। সেদিনের একটি ভিডিওতেই প্রকাশ্যে আসে একটি দেহ, যেখানে মৃতের পরনে ছিল শুধুই অন্তর্বাস। বাকি ৫ জন যে হিন্দু তা তাঁদের পরিচয়পত্র দেখেই নিশ্চিত হয়ে যায় জঙ্গিরা। তাই তাঁদের প্যান্ট খোলার প্রয়োজন হয়নি। এবং স্থানীয় যে মুসলিম নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে, সে প্রসঙ্গে তদন্তকারীদের দাবি, ওই যুবক জঙ্গিদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করায় গুলি করা হয় তাঁকে।
এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে ইতিমধ্যেই কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে পুলিশ প্রশাসন। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে ১৫০০ জনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। যার মধ্যে থেকে সেদিনের ঘটনায় ৭০ জনের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে তদন্তকারীদের। তদন্তকারীদের দাবি, শীঘ্রই আমরা মূল অপরাধীদের হেফাজতে নেব।
