ফের রক্তাক্ত কাশ্মীর, এবার জেহাদিদের গুলিতে নিহত বিজেপি নেতা

12:06 PM Jun 03, 2021 |
Advertisement

মাসুদ আহমেদ, শ্রীনগর: ফের সন্ত্রাসবাদী হানায় কেঁপে উঠল জম্মু-কাশ্মীর (Jammu and Kashmir)। এবার জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হয়েছেন এক বিজেপি নেতা। এই ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে উপত্যকায়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: দেশে একদিনে করোনার কবলে প্রায় ১ লক্ষ ৩৪ হাজার, অনেকটা কম দৈনিক মৃত্যু]

পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার ত্রালে বিজেপি কাউন্সিলর রাকেশ পণ্ডিতাকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসবাদীরা। ঘটনার সময় মুস্তাক আহমেদ নামের এক বন্ধুর সঙ্গে কথা বলছিলেন পণ্ডিতা। তখনই সেখানে হামলা চালায় তিন জেহাদি। লাগাতার গুলিবর্ষণ শুরু করে তারা। গুলির আঘাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই বিজেপি নেতার। এছাড়া, গুলির আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে লড়াই করছেন মুস্তাকের কন্যা আসিফা। পুলিশ অধিকারিকদের দাবি, ঘটনার সময় নিহত কাউন্সিলরের সঙ্গে তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা ছিলেন না। ফলে তদন্তকারীরা মনে করছেন যে পণ্ডিতার গতিবিধির কথা তাঁর কাছেরই কেউ জঙ্গিদের কাছে পৌঁছে দিয়েছে।

বিজেপি নেতার উপর হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে বিজেপি। তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। তিনি বলেন যে এহেন হিংসার ঘটনায় কাশ্মীরের সমস্যা আরও বাড়বে। হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিজেপি মুখপাত্র আলতাফ ঠাকুর বলেন, “এসব ঘটনায় বিজেপি নেতাদের দমাতে পারবে না। আমরা মানুষের জন্য কাজ চালিয়ে যাব। নিরীহ মানুষের উপর হামলা চালানো বীরত্ব নয়। আমরা পুলিশের কাছে হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারির দাবি জানাচ্ছি।” টুইটারে এই ঘটনার নিন্দা করেছেন জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা।

Advertising
Advertising

উল্লেখ্য, ভারতের সঙ্গে সম্মুখ সমরে না নেমে জম্মু ও কাশ্মীরে ছায়াযুদ্ধ চালাচ্ছে পাকিস্তান আর্মি ও গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। সীমান্তের ওপার থেকে সন্ত্রাসবাদীদের ঢুকিয়ে এবং স্থানীয় যুবকদের মগজধোলাই করে ভারতকে রক্তাক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে পড়শি দেশটি। তবে ভারতীয় সেনার লাগাতার অভিযান ও আন্তর্জাতিক মহলের চাপের মুখে অনেকটা বিপাকে পড়েছে ইসলামাবাদ। তাই ফের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের উপর হামলা চালিয়ে উপত্যকাক অশান্ত করে তুলতে চাইছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলি।

[আরও পড়ুন: ‘অযৌক্তিক এবং খামখেয়ালি’, টিকানীতি নিয়ে কেন্দ্রকে তুলোধোনা সুপ্রিম কোর্টের]

Advertisement
Next