সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে ধর্মীয় উসকানিমূলক মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল। বিরোধীরা এই অভিযোগে নির্বাচন কমিশনেরও দ্বারস্থ। দাবি ছিল, হিন্দু ভোটব্যাংক অটুট রাখতে সংবিধান বিরোধী কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু, সেসব অভিযোগ ধোপে টেকেনি। এবার আবারও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক কথা বলার অভিযোগ তুলল বিরোধীরা।
[আরও পড়ুন: হাসপাতালই যেন আদালত, এইমসের কেবিনে উন্নাওয়ের ধর্ষিতার বয়ান রেকর্ড]
বিতর্কের সূত্রপাত প্রধানমন্ত্রীর একটি বক্তব্য ঘিরে। মথুরায় গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটা এই দেশের দুর্ভাগ্য যে কিছু মানুষের কানে ‘ওম’ এবং ‘গাই’ শব্দগুলি গেলেই ওদের লোম খাড়া হয়ে যায়। ওদের মনে হয় দেশ ষোড়শ শতকে চলে গেল। এটা কেমন ধরনের জ্ঞান? দেশ যারা বরবাদ করতে চাই, তাঁরা সবরকমভাবে বরবাদ করার চেষ্টা করছে।” অনেকেই বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের সরল ব্যাখ্যা, যারা হিন্দুত্বের বিরোধী তারাই দেশের অবনতিতে শরিক হচ্ছেন। মথুরায় জাতীয় পশু রোগ নিয়্ন্ত্রণ কর্মসূচিতে শামিল হয়ে একথা বলেন মোদি। মূলত গবাদি পশুর পা ও মুখের রোগ প্রতিকারে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, মোদি পশু রোগ প্রতিরোধের অনুষ্ঠানে গিয়ে ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করেছেন।
[আরও পড়ুন: ‘ব্রাহ্মণরাই শ্রেষ্ঠ, সমাজের পথপ্রদর্শক’, বিতর্কিত মন্তব্য স্পিকার ওম বিড়লার]
মোদির এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে কংগ্রেস। দেশের বৃহত্তম বিরোধী দলের দাবি, প্রধানমন্ত্রী ধর্মগুরুর মতো মন্তব্য করছেন। মোদির উচিত এসব না ভেবে এখন জিডিপির উপর মনোনিবেশ করা। বামফ্রন্টও মোদির মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। বাম নেতাদের দাবি, মোদি কোনওরকম সমালোচনা সহ্য করতে পারেন না। এআইএমআইএম প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি বলছেন, ‘আমরা মেনে নিচ্ছি গরু হিন্দু ভাইদের জন্য পবিত্র পশু। কিন্তু, সংবিধান বাঁচার সমানাধিকার শুধু মানুষকে দিয়েছে। আমার আশা প্রধানমন্ত্রী গুলিয়ে ফেলবেন না। ‘
The post ‘গরুর নাম শুনলেই অনেকের চুল খাড়া হয়ে যায়’, প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যে বিতর্ক appeared first on Sangbad Pratidin.