নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: 'ভূতুড়ে' ভোটার ইস্যুতে ক্রমশ সুর চড়াচ্ছে তৃণমূল। নির্বাচন কমিশনের ব্যাখ্যা মানতে নারাজ রাজ্যের শাসক শিবির। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দায় স্বীকার করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। নইলে আরও নথি প্রকাশ্যে আনার হুঁশিয়ারি সাগরিকা ঘোষ এবং ডেরেক ও'ব্রায়েনদের। সোমবার নয়াদিল্লিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তাঁরা। শাসক শিবিরের হুঁশিয়ারি, "বিজেপিকে কোনওভাবে গণতন্ত্র নষ্ট করতে দেব না।"
সাগরিকা ঘোষ বলেন, "এটা প্রমাণিত যে ভোটার তালিকায় জালিয়াতি হয়েছে। আধার, লাইসেন্স, পাসপোর্ট নম্বর আলাদা হওয়া সত্ত্বেও কীভাবে শুধুমাত্র ভোটার কার্ডের এপিক নম্বর এক হয়? এটা একটা দুর্নীতি। শাস্তিযোগ্য অপরাধ। নির্বাচন কমিশন রবিবার সকালে যে বিবৃতি প্রকাশ করেছে তা সন্তোষজনক নয়। এই ঘটনার অবিলম্বে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। বিজেপি এই দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড। কারা এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তাদের নাম প্রকাশ্যে আনা হোক। গ্রেপ্তার করা হোক। আমরা বিজেপিকে গণতন্ত্র ধ্বংস করতে দেব না।" তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও' ব্রায়েন 'ভূতুড়ে' ভোটার ইস্যুর জোরালো সমালোচনা করেন।
উল্লেখ্য, প্রথমবার রাজ্য বিধানসভায় ‘ভূতুড়ে’ ভোটার নিয়ে সুর চড়ান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর গত বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের মেগা বৈঠকের মঞ্চ থেকেও একই ইস্যুতে সরব হন তৃণমূল নেত্রী।‘ভূতুড়ে’ ভোটার চিহ্নিতকরণে কমিটিও গঠন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুব্রত বক্সির নেতৃত্বে ওই কমিটি গঠন করেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ওই কমিটিতে রয়েছে দলের একাধিক শীর্ষ নেতৃত্ব। ‘ভূতুড়ে’ ভোটার নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরব হতেই নড়েচড়ে বসেছে নির্বাচন কমিশন। রবিবার বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, একই এপিক নম্বর থাকা মানেই ভুয়ো ভোটার নয়। কমিশনের দাবি, দুই বা ততোধিক ভোটারের একই এপিক নম্বর থাকতেই পারে। কিন্তু তাঁদের ভুয়ো ভোটার বলা যাবে না। সেক্ষেত্রে অন্যান্য একাধিক শর্তের মাধ্যমে দুই ভোটারকে আলাদা করা সম্ভব।
