ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: নজরে ২০২৪। বিজেপি বিরোধী ঐক্যে শান দিতে শুরু করছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই জোটের সলতে পাকানোর কাজ সারতে চলতি মাসের শেষের দিকে দিল্লি যাচ্ছেন তিনি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, তাঁর আগেই দিল্লি পৌঁছতে পারেন তৃণমূলের বিশ্বস্ত ‘স্ট্রাইকার’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (TMC leader Abhishek Banerjee)। একদিকে, জ্বালানির দামবৃদ্ধি নিয়ে লোকসভায় মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তৃণমূলের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে পারেন তিনি। তো অন্যদিকে, বিজেপিবিরোধী নেতৃত্বের সঙ্গে স্ট্র্যাটেজি বৈঠক সারতে পারেন তিনি।
একুশের ভোটযুদ্ধের পর থেকে জাতীয় রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ মুখ হয়ে উঠছেন অভিষেক। বিজেপির তাবড়-তাবড় নেতাদের আক্রমণ সামলে দলের সংগঠন মজবুত করে গিয়েছেন তিনি। এনে দিয়েছেন সাফল্যও। রাজনৈতিক মহল বলছে, মোদি-শাহ-নাড্ডাদের আক্রমণের লক্ষ্যেই ছিলেন অভিষেক। আর তাঁদের এই সম্মিলিত আক্রমণ একদিকে তৃণমূলের যুবরাজকে যেমন অভিজ্ঞ করেছে। তেমনই জাতীয়স্তরের রাজনীতিতে তাঁর গুরুত্ব বাড়িয়েছে। একুশে অভিষেক কঠিন লড়াইয়ের পর তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব। ক্ষমতা পাওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন রাজ্যে সংগঠন মজবুত করার কাজ শুরু করে দিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: তামিলনাড়ুতেও দেওয়াল লিখন তৃণমূলের! ‘আম্মা’ রূপে তুলে ধরা হল মমতাকে]
এদিকে শুরু হতে চলেছে সংসদের বাদল অধিবেশন। করোনা পরিস্থিতিতে থেকে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, একাধিক ইস্যুতে বিজেপিকে বিঁধতে স্ট্র্যাটেজি তৈরি করছে বিরোধীরা। আর সেই বিরোধিতায় একদিকে রাহুল গান্ধী তো অন্যদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কী ভূমিকা পালন করে তার দিকে তাকিয়ে থাকবে রাজনৈতিক মহল। দলীয় সূত্রে খবর, সংসদে কিংবা দিল্লিতে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তৃণমূলের আন্দোলনে সামনের সারিতে থাকবেন অভিষেক। সাম্প্রতিক অতীতে যা দেখা যায়নি। পাশাপাশি, কেজরিওয়াল থেকে রাহুল গান্ধী, অখিলেশ যাদব থেকে শরদ পওয়ার, সকলের সঙ্গেই বৈঠক সারতে পারেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগেই তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করে বিরোধী জোটের গৌরচন্দ্রিকা সাজিয়ে ফেলতে পারেন অভিষেক। ফলে তাঁর এবারের দিল্লি সফরের দিকে একদিকে যেমন বিরোধীরা তাকিয়ে রয়েছে তেমনই নজর থাকবে বিজেপিরও। কারণ মোদি-শাহের নাকের ডগায় এবার রাজনৈতিক জীবনের দ্বিতীয় ইনিংসের অভিষেক করতে চলেছেন তৃণমূলের যুবরাজ।