নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: আগামী ২ অক্টোবর থেকে দিল্লিতে ধরনা কর্মসূচি তৃণমূলের (TMC)। ১০০ দিনের কাজের টাকা না পাওয়া-সহ একাধিক ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগের সুরাহা চেয়ে রাজ্যবাসীকে সঙ্গে নিয়ে দিল্লির (Delhi) একাধিক জায়গায় ধরনা দেবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। থাকার কথা দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও (Mamata Banerjee)। যাঁরা ধরনায় শামিল হবেন, রামলীলা ময়দানে তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করার আবেদন নিয়ে দিল্লি পুলিশকে চিঠি পাঠালেন দলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন। দরিয়াগঞ্জ থানার ডিসিপি-কে চিঠি লিখে রামলীলা ময়দানে তাঁদের থাকার আবেদন জানান তিনি। পাশাপাশি আগামী ৩ অক্টোবর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
ডেরেক চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, সেপ্টেম্বরের ৩০ তারিখ থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত দিল্লিতে কর্মসূচি রয়েছে। শামিল হবেন রাজ্যের বহু মানুষ। রামলীলা ময়দানে (Ramleela Maidan) তাঁদের থাকার জন্য তাঁবু তৈরি করতে চায় দল। সেই অনুমতি চাওয়া হয়েছে দরিয়াগঞ্জ থানার কাছে। এর আগে আগস্টের শেষে এই কর্মসূচির কথা দিল্লি পুলিশকে চিঠিতে জানিয়েছিলেন ডেরেক ও ব্রায়েন (Derek O Brien)। শুক্রবারের চিঠিতেও তার উল্লেখ করেছেন তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র। তবে তার কোনও উত্তর আসেনি বলে ফের ডিসিপি-কে (DCP) চিঠি পাঠালেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘আমার ভুলেই বিশ্রি হার’, সত্যিটা মেনে নিলেন শুভমান]
উল্লেখ্য, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) ঘোষণা অনুযায়ী, ১০০ দিনের কাজের টাকা চেয়ে একেবারে দিল্লির বুকে ধরনায় বসবেন দলের নেতা, কর্মীরা। সঙ্গে থাকবেন আমজনতার একটা বড় অংশ। সকলকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব তাঁর, এমনই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অভিষেক।কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের বাসভবন-সহ একাধিক জায়গায় ধরনা কর্মসূচি হবে। আর প্রতিবাদের দিন হিসেবে মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিবসকে বেছে নিয়েছে তৃণমূল। অভিষেকের ঘোষণা পরপরই তার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। দিল্লির ধরনায় থাকার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
[আরও পড়ুন: ডায়মন্ড লিগের ফাইনালে সবার নজরে সেই নীরজ, পারবেন কি ৯০ মিটার ছুড়তে?]
এদিন তৃণমূল ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রী শশী পাঁজা জানান, ”বাংলাকে বঞ্চিত করা হয়েছে। ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকার বঞ্চনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে একশো দিনের কাজ,
আবাস যোজনা, পেনশন স্কিম, রাস্তার কাজ।” পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার জানান, ”১৬ হাজার ১০ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকা বকেয়া রয়েছে। সবমিলিয়ে ‘বঞ্চনা’ ইস্যুতে রাজধানীর অন্দরে চাপ বাড়াতে সবরকমভাবে তৈরি রাজ্যের শাসকদল।