shono
Advertisement
Pahalgam Attack

পহেলগাঁও হামলার দায় অস্বীকার লস্করের রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টের! কাশ্মীরজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভের জের?

সংগঠনটিকে লস্করের ‘ছায়া দানব’ বলা হয় কেন?
Published By: Suchinta Pal ChowdhuryPosted: 02:01 PM Apr 26, 2025Updated: 02:21 PM Apr 26, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাতদিন ধরে রেইকি করা হয়েছিল। এরপর আঁটঘাট বেঁধে গত মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ের বৈসারন ভ্যালিতে সেনার পোশাকে আসে ৫-৬ জন জেহাদি। তাদের গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে যায় ২৫ পর্যটক ও এক স্থানীয় বাসিন্দা। যখন গোটা বিশ্ব এই নারকীয় ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছে তখনই এই হামলার দায় স্বীকার করেছিল পাকিস্তানের মদতপুষ্ট লস্কর-ই-তইবার ছায়া সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ)। ঘটনার প্রতিবাদে পাঁচদিন ধরে ব্যাপক বিক্ষোভ হচ্ছে কাশ্মীরে। এই পরিস্থিতিতে আচমকাই পহেলগাঁও হামলার দায় অস্বীকার করল টিআরএফ।

Advertisement

একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, আজ শনিবার হঠাৎই এক বিবৃতি দিয়ে টিআরএফ জানিয়েছে, 'পহেলগাঁওয়ের হামলায় রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টের কোনও যোগ নেই। আমরা এর সঙ্গে যুক্ত নেই। আমাদের মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে।' কিন্তু কেন হঠাৎ এই বিবৃতি? বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতীয় সেনা ঘাঁটি খুঁজে খুঁজে জেহাদিদের খতম করছে। বাড়ি গুঁড়িয়ে দিচ্ছে। অন্যদিকে, কাশ্মীরিরাও ব্যাপক বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। সব মিলিয়ে ভয় আর চাপেই ঘাড় থেকে নারকীয় হামলার দায় ঝেড়ে ফেলতে চাইছে লস্করের ছায়া সংগঠনটি। ২০২৩ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সন্ত্রাসবাদ প্রচার, জঙ্গি নিয়োগ, অনুপ্রবেশ সহজতর করা এবং পাকিস্তান থেকে কাশ্মীরে অস্ত্র-মাদক পাচারের জন্য টিআরএফকে জঙ্গি সংগঠনের তকমা দিয়েছিল।

কী এই ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ বা টিআরএফ? তাদের লস্করের ‘ছায়া দানব’ই বা বলা হয় কেন?

কাশ্মীরে আইএসআইয়ের ছায়াযুদ্ধকে স্থানীয় বাসিন্দাদের ‘বিদ্রোহ’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্যই মূলত টিআরএফ-কে তৈরি করে পাকিস্তান। এরা মূলত লস্করের জেহাদি ছক বাস্তবায়িত করে। ২০১৯ সালের আগস্টে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বা সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। যা নিয়ে উপত্যকার বহু মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। সেই সুযোগেই তাদের মগজ ধোলাই করেই টিআরএফ তৈরি করে পাক জেহাদি সংগঠনগুলি।

যদিও অন্য একটি সূত্রের দাবি, করাচিতে সমাজসেবী সংগঠন হিসেবে তৈরি হয়েছিল ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’। তারাই পরবর্তী সময় কাশ্মীরে জেহাদি কার্যকলাপ চালাচ্ছে। সংগঠনের মাথায় রয়েছে সাজিদ জাট, সাজ্জাদ গুল এবং সালিম রেহমানিরা। সকলেই লস্করের সহযোগী। সোশাল মিডিয়ার উপর ভিত্তি করেই নিজেদের নেটওয়ার্ক বানায় তারা। তবে শুধু লস্কর নয়, তেহরিক-ই-মিলাত ইসলামিয়া এবং ঘাজনাভি হিন্দেরও যোগ রয়েছে তাদের সঙ্গে। পাকিস্তানে বসে জেহাদি হামলার ছক কষা হলে তা কাশ্মীরের মাটিতে বাস্তবায়িত করার দায়িত্বে রয়েছে টিআরএফ। যা ঘটেছে গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে। কিন্তু এখন তারা হামলার দায় অস্বীকার করছে।  

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ের বৈসারন ভ্যালিতে সেনার পোশাকে আসে ৫-৬ জন জেহাদি।
  • তাদের গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে যায় ২৫ পর্যটক ও এক স্থানীয় বাসিন্দা।
  • যখন গোটা বিশ্ব এই নারকীয় ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছে তখনই এই হামলার দায় স্বীকার করেছিল পাকিস্তানের মদতপুষ্ট লস্কর-ই-তইবার ছায়া সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ)।
Advertisement