সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বামীকে বাঁচাতে সাদামাটা গৃহবধূ একেবারে শক্তিরুপিণীর ভূমিকায় আবির্ভূত হলেন। লাইসেন্সড রিভলবার বাগিয়ে রুখে দাঁড়ালেন দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। তাতেও দুষ্কৃতীদের কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই। বুঝতে পেরে ট্রিগার চেপে চালিয়ে দিলেন গুলি। আচমকা বুলেটে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ল দুষ্কৃতীরা। স্ত্রীর মারমুখী ভূমিকায় ততক্ষণে হাঁপ ছেড়ে বেঁচেছেন স্বামী। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ঘটনাস্থল থেকে হামলাকারীরা চম্পট দিল। কোনও সিনেমার প্লট বলছি না। এমনই রোমহর্ষক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের লখনউয়ে।
[মোদিই প্রথম প্রধানমন্ত্রী যাঁর কথা একবারে অর্থহীন, বেনজির বিদ্রুপ রাহুলের]
লখনউয়ের কাকরি এলাকায় পরিবার নিয়ে বাস করেন আবিদ আলি। রবিবার বাড়ির সামনেই দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। আচমকাই ঘটনাস্থলে জড়ো হয় চার-পাঁচজনের দুষ্কৃতী দল। অভিযোগ, কোনওরকম বচসা ছাড়াই আবিদের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে দুষ্কৃতীরা। শুরু হয় মারধর। একা বেশকিছুক্ষণ নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করে যান আবিদ। দুপুরবেলা বাড়ির বাইরে লোকজন না থাকায় সাহায্যের জন্য কাউকেই পাওয়া যায়নি। এদিকে দীর্ঘ সময় বাড়ির বাইরে রয়েছেন স্বামী। কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে গেটের সামনে চলে আসেন আবিদ আলির স্ত্রী। দেখেন বেশ কয়েকজন তাঁর স্বামীকে বেধড়ক মারধর করছে। কিছুক্ষণ ইতস্তত করার পর নিজেই বেরিয়ে পড়েন। ঘরে আবিদ আলির লাইসেন্সড রিভলবার ছিল। সেটা সঙ্গে নিয়ে উঠোনে চলে আসেন। তারপর দুষ্কৃতীদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করেন। দুষ্কৃতীরা ভেবেই নিয়েছিল একা মানুষের উপরে আক্রমণ করায় কোনও রকম প্রতিরোধ আসবে না। আচমকাই হামলার মধ্যে গুলি চলতে শুরু করলে ভয় পেয়েই এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতী দল। স্ত্রীর বীরত্বে প্রাণে বাঁচেন আবিদ আলি।
[কেরলের স্পিকারের ৫০ হাজারি চশমা! বিতর্কে ‘সর্বহারা’ দল]
গুলি চালানোর ভিডিওটি ভাইরাল হতেই রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে কাকরি থানার পুলিশ। কী কারণে কারা আবিদ আলির উপরে হামলা চালিয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। এদিকে দিনেদুপুরে বাড়ির মধ্যে এহেন ঘটনা ঘটায় আতঙ্কিত বাসিন্দারা। উঠছে পুলিশ প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ। তবে ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের দাবি শুধু লখনউ নয়, গোটা রাজ্যেই অরাজকতা চলছে।
The post স্বামীকে বাঁচাতে গুলি চালালেন স্ত্রী, মারমুখী মহিলাকে দেখে ছুট দুষ্কৃতীদের appeared first on Sangbad Pratidin.