সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্ভলে হিংসার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করায় রাগে স্ত্রীকে 'কাফের' বলে তালাক দিলেন স্বামী। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মুরদবাদে। ঘটনার পর পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতা। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন সিনিয়র পুলিশ সুপার।
পুলিশের কাছে মহিলা অভিযোগ জানান, প্রথম স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তবে সম্প্রতি তাঁর উপর ক্ষুব্ধ ছিলেন স্বামী এজাজুল। যার ফলে তাঁর অফিসে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন মহিলা। সেখানেই বাইরে অপেক্ষা করার সময় মোবাইলে ইউটিউবে সম্ভল হিংসার ঘটনা দেখছিলেন। যেখানে উগ্রপন্থীদের হামলা থেকে আত্মরক্ষা করতে দেখা গিয়েছে পুলিশকে। তখনই হঠাৎ বেরিয়ে এসে স্ত্রীকে ওই ভিডিও দেখতে দেখেন এজাজুল। ওই মহিলা স্বামীর সামনেই পুলিশের প্রশংসা করে বসেন। এতেই রেগে যান তাঁর স্বামী। মহিলা বলেন, কেউ যদি হামলা থেকে আত্মরক্ষা করেন তাতে ভুল কোথায়? এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ এজাজুল স্ত্রীলে কাফের বলে মন্তব্য করে সেখানেই তাঁকে তিন তালাক দেন।
মহিলার আরও অভিযোগ, বিয়ের আগে এজাজুল তাঁর যৌন নিগ্রহ করেছিলেন। সেই ঘটনায় পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন মহিলা। তখন পুলিশের ভয়ে তাঁকে বিয়ে করেন অভিযুক্ত। মহিলার অভিযোগ, "আমাকে তালাক দেওয়ার কোনও কারণ ছিল না। সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অজুহাতে তাঁকে তালাক দেওয়া হয়েছে।" এই ঘটনায় স্থানীয় পুলিশ সুপার রণবিজয় সিং বলেন, মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করছি। ঘটনার তদন্ত করা হবে। এবং অভিযোগ প্রমাণ হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। স্বামীর বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনেরও অভিযোগ করেছেন ওই মহিলা।
উল্লেখ্য, আদালতের নির্দেশ মেনে গত মাসে সম্ভলের শাহী জামা মসজিদে সমীক্ষার কাজে গিয়েছিলেন আধিকারিকরা। সেখানে হামলা চালায় স্থানীয় জনতা। প্রায় শতিনেক লোক জড়ো হয়েছিলেন মসিজদের সামনে। আধিকারিকরা মসজিদে প্রবেশ করতে গেলে ইট ও পাথরবৃষ্টি শুরু হয়। পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। যদিও মসজিদের প্রধান বার বার জনতাকে সরে যেতে অনুরোধ করেন। শেষ পর্যন্ত কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। পরে জানা যায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
