সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের চরম নৃশংসতা যোগীরাজ্যে। বিয়ের নিমন্ত্রণ করতে বেরিয়ে অপহৃত হয়েছিলেন এক ১৮ বছরের তরুণী। এর পর চলে লাগাতার ধর্ষণ, গণধর্ষণ (Gangrape)। এমনকী, এক রাজনৈতিক নেতার মাধ্যমে ওই তরুণীকে মধ্যপ্রদেশে বিক্রিও করে দেওয়া হয়। পরে পুলিশের সাহায্যে ওই তরুণীকে উদ্ধার করা হয়।
২১ এপ্রিল বিয়ে ঠিক হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) ঝাঁসি জেলার (Jhansi District) বাসিন্দা এক তরুণীর। ১৮ এপ্রিল বেরিয়েছিলেন বিয়ের নিমন্ত্রণ সারতে। বিয়ের কার্ড বিলি করার সময় তাঁকে অপহরণ করে স্থানীয় তিন যুবক। তারপর চলে লাগাতার ধর্ষণ। এমনকী গণধর্ষণও করা হয় তাঁকে। তার পর স্থানীয় এক রাজনৈতিক নেতার কাছে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানে অচেনা এক ব্যক্তির সঙ্গে রাত কাটাতে বাধ্য করা হয় তাঁকে।
[আরও পড়ুন: পাশে মা-বাবা, বিকিনি পরে জন্মদিনের কেক কাটলেন আমিরকন্যা, ‘নির্লজ্জ’, কটাক্ষ নেটিজেনদের]
পরে পার্শ্ববর্তী রাজ্য মধ্যপ্রদেশের এক গ্রামে পাঠিয়ে দেওয়া হয় ওই তরুণীকে। সেখানে মোটা টাকার বিনিময়ে তাঁকে দাতিয়া গ্রামের এক ব্যক্তির কাছে বিক্রিও করে দেওয়া হয়। কয়েকদিন সেখানে থাকার পর সুযোগ বুঝে বাবাকে ফোন করেন তরুণী। শেষে পুলিশের সাহায্যে পাথারি গ্রাম থেকে তাঁকে উদ্ধার করে পরিবার। এই ঘটনায় ফের একবার যোগীরাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
ঘটনা প্রসঙ্গে তেহরাউলির সার্কেল অফিসার অনুজ সিং জানিয়েছেন, নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে অপহরণ, গণধর্ষণ এবং বিক্রি করে দেওয়ার মামলা দায়ের হয়েছেয। ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে নির্যাতিতার গোপন বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। যদিও ঘটনার পর দীর্ঘসময় কেটে গেলেও অভিযুক্তরা অধরা।