সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০৫ জন অভিবাসীকে নিয়ে অমৃতসরে পৌঁছেছিল মার্কিন বায়ুসেনার বিমান। আগামী শনি-রবি, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি আরও দুটি বিমান নামবে সেই অমৃতসরে। আর এটা নিয়েই অভিযোগ তুলছেন বিরোধী নেতারা। তাঁদের দাবি, ইচ্ছে করেই বারবার পাঞ্জাবেই ওই বিমান অবতরণ করানো হচ্ছে উত্তেজনার বাতাবরণ তৈরি করতে!
প্রসঙ্গত, ট্রাম্পের নির্দেশ মতোই আমেরিকায় চলছে ধরপাকড়। শয়ে শয়ে ‘অনুপ্রবেশকারী’কে গ্রেপ্তার করছে মার্কিন পুলিশ। তাঁদের মধ্যে থেকেই ০৫ জন ‘অবৈধ’ ভারতীয়কে মার্কিন সেনাবাহিনীর সি-১৭ বিমানে তুলে দেওয়া হয়। ৫ ফেব্রুয়ারি সেই বিমান ভারতে এসে পৌঁছয়। এবার ফের জোড়া বিমান নামতে চলেছে অভিবাসীদের নিয়ে।
পাঞ্জাবের অর্থমন্ত্রী হরপাল সিং চিমা এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছেন। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ''ভারত সরকার পাঞ্জাবকে কলঙ্কিত করতেই বারবার আমেরিকা থেকে বিমানগুলিকে অমৃতসরে নামাতে চাইছে। কেন এই সব বিমান হরিয়ানা বা গুজরাটে পাঠানো হচ্ছে না? এটা পরিষ্কার যে, বিজেপি পাঞ্জাবকে টার্গেট করছে। অথচ এই বিমানগুলি আহমেদাবাদে নামার কথা।''
একই কথা বলছেন কংগ্রেস বিধায়ক প্রগত সিংও। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ''দুর্ভাগ্যজনক। হ্যাঁ, এই অভিবাসীদের মধ্যে পাঞ্জাবের বাসিন্দারা রয়েছেন। কিন্তু কেন অন্য রাজ্যে সেই বিমান নামবে না? প্রধানমন্ত্রী মোদি তো আমেরিকায় গেলেন। ওঁর তো উচিত ছিল মার্কিন প্রশাসনের কাছে জানতে চাওয়া যে, কেন আমাদের তরুণদের হাতে হাতকড়া পরিয়ে, পায়ে শেকল বেঁধে দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।''
উল্লেখ্য, ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা ভারতীয়দের হাতে হাতকড়া, কোমরে দড়ি দেখার পরও তার প্রতিবাদ না করে সমর্থন করে আসলে নরেন্দ্র মোদি অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে ভারতের কড়া অবস্থান বিশ্বমঞ্চে প্রতিষ্ঠা করে এলেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সামনে বুঝিয়ে দিলেন, ভারত কোনওভাবেই অনুপ্রবেশকারীদের সঙ্গে আপস করবে না। আগামী দিনে হয়তো ভারত থেকে অনুপ্রবেশকারীদের বিতাড়নের চেষ্টা হলে বিরোধিতা আরও তীব্র হত, সেক্ষেত্রে যুক্তি দেওয়া হত, আমেরিকা থেকে অনুপ্রেবশকারীদের ফেরানোর বিরোধিতা করেছিল ভারতও। সেই অস্ত্র বিরোধীদের থেকে কেড়ে নিলেন মোদি। মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
