সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আফগানিস্তান (Afghanistan) নিয়ে কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যেই মঙ্গলবার ভারতে এসেছেন মার্কিন (US) বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন (Antony Blinken)। বুধবার বিকেলে তাঁর সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এর আগে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ও বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গেও সাক্ষাৎ হয় মার্কিন বিদেশ সচিবের।
বুধবার সন্ধ্যায় বৈঠকের প্রধানমন্ত্রী টুইটারে লেখেন, ‘‘মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনএর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ভাল লাগল। ভারত-মার্কিন কৌশলী অংশীদারি বজায় রাখতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বিডেনের দৃঢ় প্রতিশ্রুতিকে আমি স্বাগত জানাচ্ছি। দুই দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ নিহিত রয়েছে এর মধ্যে। বৈশ্বিক কল্যাণ্যের জন্যও এটি শুভ।’’
[আরও পড়ুন: ব্যাংক বন্ধ হয়ে গেলেও বিমা বাবদ মিলবে ৫ লক্ষ টাকা, বড় ঘোষণা কেন্দ্রের]
উল্লেখ্য, মার্কিন বিদেশ সচিব পদে বসার পর এটাই ব্লিঙ্কেনের প্রথম ভারত সফর। বিশেষ করে আফগানিস্তান নিয়ে নয়াদিল্লি ও মস্কোর কুটনৈতিক আলোচনার প্রেক্ষিতে এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। এর আগে এদিন বিদেশমন্ত্রী জয়শংকরের সঙ্গে বৈঠকের পর মার্কিন বিদেশ সচিব বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশগুলির মধ্যে সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। করোনা-সহ একাধিক সমস্যা দেখা দিয়েছে যা এককভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতে বদ্ধপরিকর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।”
এদিকে, নয়াদিল্লিতে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে ধর্ম পালনের স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের উপর জোর দেন ব্লিঙ্কেন। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ব্লিঙ্কেন বলেন, “ভারত ও আমেরিকার জনগণ মানবিক মূল্যবোধ, আইনের শাসন, ধর্মীয় স্বাধীনতায় বিশ্বাসী।”
[আরও পড়ুন: ‘আমি লিডার নই, ক্যাডার’, Sonia’র সঙ্গে সাক্ষাতের পর তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য Mamata’র]
কিন্তু কেন হঠাৎ মার্কিন বিদেশ সচিবের এই ভারত সফর? আসলে আমেরিকা, ভারত, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার তৈরি ‘কোয়াড’-এর পালটা আরও এক ‘কোয়াড’ আফগানিস্তানকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠছে। চিন, পাকিস্তান, রাশিয়া ও ইরান। ফলে রাশিয়া ও ইরানের সঙ্গে পর্দার আড়ালে আলোচনা চালাচ্ছে ভারত। আর এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে নয়াদিল্লিকে আশ্বস্ত করতে বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে পাঠিয়েছে আমেরিকা বলেই মত বিশ্লেষকদের।