সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাশিয়ার তৈরি অস্ত্র কিনলে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হবে। শুক্রবার মিত্র দেশগুলিকে এমনটাই হুঁশিয়ারি দিল আমেরিকা (America)। মস্কো থেকে হাতিয়ার আমদানি করলে মার্কিন কাটসা আইনে (কাউন্টারিং আমেরিকাস অ্যাডভারসারিস থ্রু স্যাংশনস অ্যাক্ট) ভারতকেও যে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হবে পরোক্ষে সেই ইঙ্গিতও দিল ওয়াশিংটন।
[আরও পড়ুন: ফাটল না নারকেল, উদ্বোধনে চিড় ধরল কোটি টাকার রাস্তাতেই! হাস্যকর ঘটনা যোগীরাজ্যে]
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, “আমরা সকল বন্ধু দেশের কাছে আবেদন করছি তারা যেন রাশিয়ার তৈরি এমন কোনও অস্ত্র আমদানি না করে যার ফলে তাদের কাটসা আইনে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হতে পারে। রাশিয়ার সঙ্গে অস্ত্রচুক্তি নিয়ে ভারতকে ছাড় দেওয়ার বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্তই হয়নি। কাটসা আইনে কোনও এক বিশেষ দেশকে ছাড় দেওয়ার কোনও বিধান নেই।” এদিকে, প্রতিরক্ষামন্ত্রকের প্রতিমন্ত্র অজয় ভাট লোকসভায় স্পষ্ট জানিয়েছেন, রুশ এস-৪০০ মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম কেনার বিষয়টি একটি সার্বভৌম দেশের সিদ্ধান্ত। নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও ফৌজের চাহিদার কথা মাথায় রেখে সরকার হাতিয়ার ক্রয় করে। নির্দিষ্ট সময়েই এস-৪০০ ভারতের হাতে আসবে।
উল্লেখ্য, রুশ মিসাইল সিস্টেম নিয়ে তুঙ্গে পৌঁছেছে ভারত-আমেরিকার টানাপোড়েন। সম্প্রতি ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা বা মিসাইল সিস্টেম ‘এস- ৪০০ ট্রায়াম্ফ’ ভারতে পাঠানো শুরু করেছে রাশিয়া। সামরিক বিষয়ে ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, এর ফলে এক ধাক্কায় অনেকটাই শক্তি বেড়ে গেল ভারতীয় বায়ুসেনার। শত্রুপক্ষের যুদ্ধবিমান ও দূরপাল্লার ক্রুজ মিসাইল মোকাবিলায় ‘এস- ৪০০’ মিসাইলের বিকল্প নেই। ভারতীয় বায়ুসেনা এমন একটি সময় এই ক্ষেপণাস্ত্র হাতে পাচ্ছে, যখন প্রতিবেশী চিনের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে গোলমাল চলছে। তা নিয়ে লাদাখ, অরুণাচলে এখনও উত্তপ্ত পরিস্থিতি।
প্রসঙ্গত, ভারত প্রথম দেশ নয় যার বিরুদ্ধে এই এস-৪০০ (S-400) কেনার জন্য নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি দিয়েছে আমেরিকা। ভারতের আগে রাশিয়ার কাছ থেকে এই অস্ত্র কেনে তুরস্ক। যার ফলে ইতিমধ্যে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হয়েছে ন্যাটো সদস্য সেই দেশকে। এদিকে, এই বিষয়কে খুব বেশি আমল দিতে নারাজ বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁদের দাবি, রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক চুক্তি বাতিল করবে না ভারত। মস্কোর সঙ্গে পরীক্ষিত বন্ধুত্ব বজায় রেখেই আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করেছে নয়াদিল্লি। বাইডেন প্রশাসনকেও সেই কথা মাথায় রাখতে হবে। তাছাড়া, কৌশলগত কারণে এশিয়া মহাদেশে চিনকে রুখতে ভারতের উপরই ভরসা রাখতে হবে ওয়াশিংটনকে।