হেমন্ত মৈথিল, লখনউ: মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে 'সেরা সুশাসিত রাজ্য' এবং 'সবুজ রাজ্যে'-এর সাফল্য উত্তরপ্রদেশের। যোগীর আট বছরের শাসনে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও নাগরিক পরিষেবার যেমন উন্নতি হয়েছে, তেমনই পরিবেশ সংরক্ষণেও উল্লেখযোগ্য কাজ হয়েছে। যা উষ্ণায়নের পৃথিবীতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

গত আট বছরে যোগী সরকার ২০৪ কোটিরও বেশি বৃক্ষরোপণ করেছে। এর ফলে উল্লেখযোগ্যভাবে সমৃদ্ধ হয়েছে রাজ্যের বনভূমি। ২০২৩ সালের ফরেস্ট স্টেটাস রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তরপ্রদেশে নতুন ৫৫৯.১৯ স্ক্যোয়ার কিলোমিটার বনভূমি তৈরি হয়েছে। মনে করা হচ্ছে 'পেড় লাগাও, পেড় বাঁচাও অভিযান ২০২৪'-এরই সাফল্য পেল রাজ্য। 'সবুজ রাজ্যে'র সাফল্যে অংশিদার বন, পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তন দপ্তর।
তরুণদের স্বনির্ভর করতে কর্মসংস্থান উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে যোগীরাজ্যে। অনেকেই বন দপ্তরে স্বচ্ছ নিয়োগ পদ্ধতিতে যোগ দিয়েছেন। প্রথমবারের মতো উত্তরপ্রদেশের কৃষকরা কার্বন ক্রেডিট থেকে আর্থিকভাবে উপকৃত হয়েছেন। যার ফলে তাঁদের আয় বেড়েছে। যোগী প্রশাসনের আরেকটি বড় উদ্যোগ গত বছরের নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া লখনউ-পালিয়া বিমান পরিষেবা। এর ফলে যোগাযোগের পাশাপাশি পর্যটন ক্ষেত্র লাভবান হচ্ছে।
এছাড়া রাজ্য জুড়ে মোট ৯৪৮টি ঐতিহ্যবাহী বৃক্ষউদ্যান গড়ে তোলা হয়েছে। ২০২৪ সালের গ্রীষ্মকালীন আদমশুমারি অনুসারে 'রাজ্য পাখি' সারসের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯,৯৯৪। ২০২৩ সালে ছিল ১৯,৫২২টি এবং ২০২২ সালে ছিল ১৯,১৮৮টি। ধারাবাহিক এই বৃদ্ধি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার কার্যকারিতাকে প্রমাণ করে।
পরিবেশ নিয়ে কাজে ডলফিন সংরক্ষণে সাফল্য এসেছে। এই মুহূর্তে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২,৩৯৭টি নদী ডলফিনকে চিহ্নিত করা গিয়েছে উত্তরপ্রদেশের ২৮টি নদীতে। গত আট বছরে বন, পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তন দপ্তরে চাকরি পেয়েছেন মোট ২৫০০ জন যুবক। গোরক্ষপুরের ক্যাম্পিয়ারগঞ্জে এশিয়ার প্রথম 'জটায়ু সংরক্ষণ ও প্রজনন কেন্দ্রে'র উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সংরক্ষণ প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে মোট ছয়টি রাজা শকুনকে (তিনটি পুরুষ এবং তিনটি স্ত্রী) এই কেন্দ্রে আনা হয়েছে। নজরকারা এই সাফল্য চোখে পড়ছে গোটা ভারতের।