সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চার ধাম যাত্রায় হেলিকপ্টার পরিষেবায় গলদ নিয়ে উত্তরাখণ্ড তাই কোর্টের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়ল সে রাজ্যের বিজেপি সরকার। কোথায় গলদ, কেন বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে? দায়ী কে? একাধিক প্রশ্নে সরকারকে বিদ্ধ করল উচ্চ আদালত।
উত্তরাখণ্ড হাই কোর্টের বিচারপতি জি নরেন্দ্র এবং বিচারপতি অলোক মেহেরার ডিভিশন বেঞ্চ বলছে, "ঠিক কোথায় গলদ ছিল? এই দুর্ঘটনাগুলির জন্য কারা দায়ী?" হাই কোর্ট বলছে, তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেওয়া উচিত। সরকারকে দ্রুত হেলিকপ্টার পরিষেবার জন্য সুনির্দিষ্ট নীতি প্রণয়ন করতে হবে। বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। বিশেষ করে উঁচু পাহাড়ি এলাকায় পরিষেবার জন্য উপযুক্ত প্রস্তুতি নিতে হবে। উত্তরাখণ্ড সরকার জানিয়েছে, যাত্রী সুরক্ষার কথা ভেবেই আপাতত হেলিকপ্টার পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।
আসলে এ বছর চারধামের পথে হেলিকপ্টার যাত্রা যেন আতঙ্কের আরেক নাম হয়ে উঠেছে। মাত্র ৪০ দিনে ভেঙেছে ৫ কপ্টার, মৃত অন্তত ১২!। গত রবিবারই গুপ্তকাশী যাওয়ার পথে আরিয়ান এভিয়েশনের একটি হেলিকপ্টার গৌরীকুণ্ডের জঙ্গলে ভেঙে পড়ে। কপ্টারে থাকা সাতজনেরই মৃত্যু হয়েছে। তারপরেই বারবার ভেসে আসছে চারধাম যাত্রায় লাগাতার দুর্ঘটনার ছবি। মর্মান্তিক ঘটনার পরেই প্রশ্ন উঠছে, এই হেলিকপ্টার যাত্রা কি আদৌ সুরক্ষিত? কারণ ২ মে থেকে কেদারনাথের দরজা পুণ্যার্থীদের জন্য খুলে দেওয়ার পর এই নিয়ে পঞ্চমবার দুর্ঘটনার কবলে পড়ল তীর্থযাত্রী বোঝাই হেলিকপ্টার। পাহাড়ি এলাকায় কপ্টার চালানো যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং বলেই মনে করেন বিশ্লেষকরা। তা সত্ত্বেও কেন এই অঞ্চলে বারবার কপ্টার পরিষেবার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে? উত্তর অধরাই।
