সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটার তালিকায় কারচুপির অভিযোগের মাঝেই বিতর্কিত মন্তব্য কেরল বিজেপির সহ-সভাপতি বি গোপালকৃষ্ণণের। তাঁর দাবি, 'নির্বাচন জেতার জন্য প্রয়োজনে কাশ্মীর থেকে ভোটার আনব আমরা।' শুধু তাই নয় বিজেপি নেতার আরও দাবি, গত বছর লোকসভা নির্বাচন জিততে অন্য রাজ্য থেকে ভোটারদের ত্রিশুরে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল।
বাম শাসিত কেরল দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির পাখির চোখ। এখনও পর্যন্ত এখানে বিজেপি দাঁত ফোটাতে না পারলেও ঘুরপথে ক্ষমতা দখলে মরিয়া তারা। শুক্রবার সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সে প্রসঙ্গ তুলে গোপালকৃষ্ণণ বলেন, "যে নির্বাচন কেন্দ্রগুলিতে আমরা জিততে চাই, প্রয়োজনে সেখানে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে লোক আনব আমরা। ওই কেন্দ্রে একবছরের জন্য তাঁদের রাখা হবে এবং এই বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে যাতে তাঁরা নির্বাচনে ভোট দিতে পারে। এতে কোনও সন্দেহ নেই যে, ভবিষ্যতে এটা আমরা করবই।"
এই ধরনের কুকীর্তি যে অবৈধ তা অবশ্য মানতে নারাজ ওই বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, "ত্রিশুরে কোনও জাল ভোট হয়নি। জাল ভোটের অর্থ মৃত ব্যক্তির নামে ভোট দেওয়া বা দু'বার ভোট দেওয়া। এক্ষেত্রে এমন কিছু করা হচ্ছে না।" গোপালকৃষ্ণণের মন্তব্যে বিতর্ক চরম আকার নিলে তাঁর পক্ষ নেন বিজেপির রাজ্য সম্পাদক এমটি রমেশ। তিনি বলেন, "আইন অনুযায়ী যদি কোনও ব্যক্তি ৬ মাসের বেশি কোনও জায়গায় থাকেন, তাহলে তিনি সেখানকার ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্ত করতেই পারেন। নির্বাচন কমিশনের অনুমোদিত ৬টি পরিচয়পত্রের যে কোনও একটি এবং প্রতিবেশীর ৬ মাসের আবাসিক শংসাপত্র এবং যাচাইকরণের ভিত্তিতে যে কোনও ব্যক্তি ভোট দিতে পারবেন। সেক্ষেত্রে তিনি কাশ্মীরি কি অন্য রাজ্যের সেটা বিষয় নয়।"
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে ভোটার তালিকা সংশোধন ও ভুয়ো ভোটার ইস্যুতে সরগরম জাতীয় রাজনীতি। কেরলের ত্রিশুরেও একই অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি কর্নাটকের মহাদেবপুরে বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার তালিকায় ত্রুটি তুলে ধরেছেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। তথ্য-প্রমাণ সামনে এনে জানানো হয়েছে, ভোটে জিততে বহু কেন্দ্রে লক্ষ লক্ষ ভুয়ো ভোটারের নাম যুক্ত করা হয়েছে। ত্রিশুর কেন্দ্রেও ২০২৪-এর নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী সুরেশ গোপী। ৭৪,৬৮২ ভোটে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। তাঁর এরই জয় নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিল বিরোধী শিবির। এরই মাঝে বিজেপি মন্তব্যে বিরোধীদের সে অভিযোগ আরও পোক্ত হচ্ছে।
