সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিশুকে টেনে নিয়ে গিয়েছিল সকালে। বিকেলে সেই নেকড়েরই মৃত্যু হল বন বিভাগের শুটারের গুলিতে। তবে এখনও সন্ধান মেলেনি নিখোঁজ শিশুকন্যাটির। নদীর ধারে এবং নিকটবর্তী আখের খেতে চলছে তল্লাশি। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে উত্তরপ্রদেশের বাহরাইচে।
বন দপ্তরের আধিকারিক রাম সিং যাদব জানিয়েছেন, শুক্রবার রাত সাড়ে তিনটের সময় আচমকাই মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে থাকা শিশুটিকে তুলে নিয়ে যায় নেকড়েটি। সঙ্গে সঙ্গে খবর যায় বন দপ্তরে। দপ্তরের তরফে ড্রোন উড়িয়ে এবং অভিজ্ঞ শুটার দিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু ঘন কুয়াশার কারণে তা কঠিন হয়ে পড়ে। অবশেষে শনিবার বিকেল নাগাদ কুয়াশা সরে গেলে গোধিয়া গ্রামের কাছে নদীর তীরে দেখা যায় নেকড়েটিকে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে বন দপ্তর জানিয়েছে। সন্ধান করার চেষ্টা হচ্ছে নিখোঁজ শিশুকন্যাটির।
বন দপ্তর জানিয়েছে, এই গ্রামে সম্প্রতি নেকড়ে দেখা যায়নি। তবে এখান থেকে ৮ কিমি দূরে অবস্থিত মল্লহনপূর্বায় একটি নেকড়ে কয়েকদিন আগেই চার মাসের এক শিশুকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। পরে আখ খেতে তার দেহাবশেষ মিলেছিল। এর আগে ২৯ নভেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে আরও তিনটি নেকড়ে-হানার কথা জানা গিয়েছিল। সেই হামলার পিছনেও এই নেকড়েটি ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, এর আগেও নেকড়ে আতঙ্কে কেঁপেছিল উত্তরপ্রদেশের বাহরাইচ জেলার জঙ্গল সংলগ্ন একাধিক গ্রাম। নেকড়ের হামলায় চার শিশু-সহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। জখম হন ২০ জনেরও বেশি। পরিস্থিতি এমনই দাঁড়িয়েছিল যে, মানুষ বাড়ি থেকে বেরতেই ভয় পাচ্ছিলেন। শেষে বন দপ্তরের গুলিতে মৃত্যু হয় ‘মানুষখেকো’ পুরুষ নেকড়েটির।
