সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার (Coronavirus) রিপোর্ট নেগেটিভ। তাই হাসপাতালে থাকতে দিতে চায়নি কর্তৃপক্ষ। মেলেনি অ্যাম্বুল্যান্স। বাধ্য হয়ে ২৫ কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে আসার সময়ই ঘটল বিপত্তি। গণধর্ষণের শিকার মহিলা। অসমের (Assam) চরাইদেওর এই ঘটনার সমালোচনায় সরব প্রত্যেকে।
ঠিক কী হয়েছিল? নির্যাতিতার মেয়ে জানান, বেশ কয়েকদিন আগে তাঁদের পরিবারের সকলেই করোনা আক্রান্ত হন। তাঁরা হোম আইসোলেশনে ছিলেন। তাঁর বাবা এবং মায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালে ভরতি করা হয়। গত ২৭ মে তাঁদের আবারও করোনা পরীক্ষা করা হয়। রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। রিপোর্ট জানতে জানতে বেশ রাত হয়ে যায়। নির্যাতিতার মেয়ের দাবি, করোনামুক্ত হওয়া মাত্রই হাসপাতাল থেকে চলে যেতে বলা হয় তাঁদের। অ্যাম্বুল্যান্স (Ambulance) করে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার দাবি জানান। তবে অ্যাম্বুল্যান্স পাওয়া যাবে না বলেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁদের।
[আরও পড়ুন: ফের মূল্যবৃদ্ধি জ্বালানির, একাধিক শহরে লিটার প্রতি পেট্রলের দাম ছুঁল ১০০]
তাই মাকে সঙ্গে নিয়ে বাধ্য হয়ে বেরিয়ে পড়েন তরুণী। অভিযোগ, দু’জন যুবক ধাওয়া করে তাঁদের। চা বাগানের কাছে মেয়ের চোখের সামনে মাকে অপহরণ করে ওই যুবকেরা। তুলে নিয়ে যায় মহিলাকে। মাকে অপহরণ করতে দেখে অসহায় বোধ করতে থাকেন তরুণী। চিৎকার করতে শুরু করেন তিনি। পাড়া প্রতিবেশীরা জড়ো হয়ে যান। শুরু হয় অপহৃত মহিলার খোঁজ। তবে তাঁকে পাওয়া যায় না। ঘণ্টাদুয়েক পর নিজেই ওই মহিলা বাড়ি ফেরেন। গণধর্ষণের (Gang rape) শিকার হয়েছেন বলেই জানান তিনি।
ঘটনার দু’দিন পর পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ জানানো হয়েছে। ওই মহিলার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। তবে পুলিশ আধিকারিকরা রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছেন বলেই জানিয়েছেন সুধাকর সিং। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই জানান অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেশব মোহন্ত (Keshab Mohanta)। করোনামুক্ত হওয়ার পরেও রোগিনীর অ্যাম্বুল্যান্স পাওয়ার কথা। তা সত্ত্বেও কেন তা পেলেন না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সকলেই।