হেমন্ত মৈথিল: ফতেপুরে হিংসার ঘটনায় সরকারের জড়িত থাকার অভিযোগ ভিত্তিহীন। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখাই যোগী সরকারের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ফতেপুরের ঘটনা নিয়ে বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে বিধানসভায় এমনটাই জানালেন উত্তরপ্রদেশের অর্থ ও পরিষদীয় মন্ত্রী সুরেশ খান্না। তাঁর সাফ কথা, যারাই আইন নিজের হাতে তুলে নিক তাদের কঠোর শাস্তি পেতে হবে।
সোমবার উত্তরপ্রদেশের ফতেপুরের একটি ঐতিহাসিক সমাধিক্ষেত্রকে কেন্দ্র করে ছড়িয়ে পড়ে অশান্তি। এক গোষ্ঠী সমাধিস্থলে ঢুকে ভাঙচুর চালালে, পালটা পাথর ছোড়ার অভিযোগ অন্য গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। অশান্তির খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে পৌঁছয় পুলিশের বিশাল বাহিনী। ফতেহপুর সদর তহসিলের রেদিয়া এলাকার আবু নগরে অবস্থিত নবাব আবদুস সামাদের সমাধিক্ষেত্রটি জাতীয় সম্পত্তি হিসেবে নথিভুক্ত। স্থানীয় একটি সংগঠনের দাবি, সমাধির তলায় হাজার বছরের পুরোনো মন্দির রয়েছে। ওই সংগঠনের বিরুদ্ধেই সমাধিতে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ রয়েছে।
এদিন পরিষদীয় মন্ত্রী সুরেশ খান্না বিধানসভায় ওই ঘটনা নিয়ে বিরোধীদের প্রশ্নের জবাবে বলে দিয়েছেন, ইতিমধ্যেই ওই এফআইআর দায়ের হয়েছে। ১০ জন অভিযুক্তকে সনাক্ত করে এবং ১৫০ জন অজ্ঞাত পরিচয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গুরুতর ধারায় মামলা দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৯০, ১৯১ (২), ১৯১ (৩), ৩০১ এবং ১৯৬ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। সুরেন্দ্র খান্না জানিয়ে দিয়েছেন, এই ঘটনার তদন্তকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। কোনও অপরাধীই ছাড় পাবে না। তাঁর দাবি, এফআই দায়ের করে সরকার প্রমাণ করে দিয়েছে আমরা আমাদের কাজ সঠিক ভাবে করছি। রাজ্যে কোনও অরাজকতা বরদাস্ত করা হবে না। বিরোধীরাই এটা নিয়ে অহেতুক রাজনীতি করার চেষ্টা করেছে।
